ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রাণিসম্পদ খাতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
প্রাণিসম্পদ খাতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি

ঢাকা: পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিডের কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফিআব)। 

এর নেতরা বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম, দুধ, মাছ ও মাংসের উৎপাদন এবং সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে কাঁচামালের ওপর অগ্রিম কর প্রত্যাহার করতে হবে। অগ্রিম কর আরোপের ফলে পোল্ট্রিসহ প্রাণিসম্পদ খাতে অত্যাবশ্যকীয় কাঁচামাল আমদানিতে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।

তীব্রতর হয়েছে পুঁজির সংকট।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ফিআব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এ দাবি করেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন- ফিআবের সভাপতি এহতেশাম বি শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সাবেক সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন, বিপিআইসিসির সভাপতি মসিউর রহমান প্রমুখ।

আহসানুজ্জামান বলেন, ভুট্টা, সয়াবিন মিল, ওষুধসহ পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিড তৈরির বেশিরভাগ কাঁচামাল আমদানি নির্ভর হওয়া সত্ত্বেও এ খাতের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর আরোপ করা হয়েছে, যা একেবারেই যুক্তিসঙ্গত নয়। কাঁচামাল আমদানিতে আরোপিত কর ও শুল্ক এবং পণ্য ছাড়করণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কেজিপ্রতি ফিডের উৎপাদন খরচ ৩ থেকে ৪ টাকা, ব্রয়লার মুরগির ৮ থেকে ১০ টাকা, মাছের ৭ থেকে ৮ টাকা এবং ডিমের উৎপাদন খরচ ১ টাকা বেড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগির মাংস সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। রপ্তানি সম্ভাবনা বিনষ্ট হবে, দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

শামসুল আরেফিন খালেদ অঞ্জন বলেন, বর্তমানে পোল্ট্রি বার্ডের সংখ্যা দুই কোটিরও অধিক বেড়েছে। তাছাড়া সোনালি মুরগির সংখ্যা বাড়ার কারণে রোগ-জীবাণুর প্রকোপ আগের চেয়ে বেড়েছে। তাই পোল্ট্রি শিল্পকে রক্ষার স্বার্থে বিশেষ বিবেচনায় দ্রুততার সঙ্গে আমদানি অনুমতি দেওয়া দরকার।

মসিউর রহমান বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদ খাত এখন নানা সংকটের মুখে। বন্দরে যে পণ্য খালাস করতে সাত কর্মদিবসের অধিক সময় লাগা উচিত নয়। কিন্তু ল্যাব টেস্টের জটিলতায় তা খালাস করতে ২০ থেকে ৪২ দিন পর্যন্ত সময় লাগছে। এতে বিশাল অঙ্কের বিলম্ব মাশুল গুণতে হচ্ছে। প্রান্তিক খামারিরা সিঙ্গেল ডিজিট লোন সুবিধা পাচ্ছেন না। তাছাড়া বিদ্যুৎ বিলের ওপর আগে যে ২০ শতাংশ হারে রেয়াত পাওয়া যেত, সাম্প্রতিক সময়ে সে সুবিধা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। দেশের লাখো খামারি ও শিল্প উদ্যোক্তারা এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে তাকিয়ে আছেন। তারা বিশ্বাস করেন, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পুনরায় জীবন ফিরে পাবে দেশের পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ খাত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
ডিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।