ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিশ্ববাজারে হালাল পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
বিশ্ববাজারে হালাল পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর তাগিদ সেমিনারে অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালাল পণ্যের বাজারও সম্প্রসারিত হচ্ছে। বর্তমানে হালাল পণ্যের বাজারে তিন লাখ কোটি ডলারের বেশি বিনিময় হচ্ছে। এর সিংহভাগ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল ও নিউজিল্যান্ডের দখলে। আমাদেরও এগোতে হবে। আমাদের হাতে সময় এসেছে বাংলাদেশ থেকে হালাল পণ্য রপ্তানির। এ ক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর চেম্বার ভবনে ঢাকা চেম্বার অব কামার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত হালাল ও নিরাপদ খাদ্য নিয়ে সেমিনারে এ কথা বলেন বিশিষ্টজনেরা।

সেমিনারে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসির বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী হালাল পণ্যের মার্কেট প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ব্রাজিল পণ্য রপ্তানিতে এগিয়ে থাকলেও বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হয়েও আমরা অনেক পিছিয়ে রয়েছি।

তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে দেশের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি হালাল সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণ করা প্রয়োজন। এছাড়া অবকাঠামো উন্নয়ন এবং আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হলে হালাল পণ্য রপ্তানিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোহাম্মদ আল-মুহাইরি বলেন, বর্তমানে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে বিশ্বে হালাল পণ্যের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর বাজারমূল্য প্রায় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে বাস্তবতা হলো এ বাজার অমুসলিম রাষ্ট্রের হাতে রয়েছে। এখন সময় এসেছে উদ্যোগ নেওয়ার।

তিনি বলেন, মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে কোরআন সুন্নাহের আলোকে হালাল পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ নিতে হবে। এ বাজার ধরার ভালো সুযোগ আছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ কয়েকটি দেশে মাংস রপ্তানি করছে। তবে গোখাদ্যে যাতে রাসায়নিক অথবা ক্ষতিকারক কিছু ব্যবহার না হয় সেটাও দেখতে হবে। আবার যারা হালাল সনদ দেবে তাদের পণ্যটি হালাল কি-না দেখতে হবে। মনে রাখতে হবে কোরআন সম্মত খাবার হালাল। তা সব মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর। এক্ষেত্রে অন্যসব দেশের মার্কেটও ধরার বড় সুযোগ আছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, বিশ্বে হালাল পণ্য রপ্তানির উদ্যোগ ডিসিসিআইয়ের মতো কোনো প্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে। এছাড়া সরকারের সঙ্গে বিএসটিআই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কাজ করবে কীভাবে আরও সহযোহিতা করা যায়। দেশে ওয়ানস্টপ সার্ভিসের মাধ্যমে আমাদের হালাল ও গুণগত মানের খাবার বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, সবাই বস্তুর উন্নয়নে কাজ করে। আমরা মানুষের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। আমার জন্য হালাল পণ্যটি অন্যে ধর্মের জন্যও স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ। আমরা ইসলামকে নিয়ে বাণিজ্য করব না। আমরা দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামকে অন্যের কাছে পৌঁছে দেব। মুসলিস-অমুসলিম সবার সঙ্গে এক হয়ে থাকতে চাই। সবাইকে নিরাপদ-হালাল খাবারের নিশ্চয়তা দিতে চাই।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. একে ওবায়দুল হক এবং আরব আমিরাতের গবেষক ড. সামিয়া আব্দুল লতিফ।

বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক, ঢাকা চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, এসিআই ফুড লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক অনুপ কুমার সাহা, বেঙ্গল মিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএফএম সালেহ আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।