ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবিতে ৩ দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
আইসিসিবিতে ৩ দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো

ঢাকা: বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য প্রস্তুতকারক, রপ্তানিকারক ও সরবরাহকারীদের নতুন পণ্য, প্রযুক্তি ও দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী সিরামিক এক্সপো প্রদর্শনী ও সম্মেলন। 

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আইসিসিবির ‘নবরাত্রি’ হলে ‘সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯’-এর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিরামিক খাতে আরও প্রণোদনা দেওয়া উচিত উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিরামিকের কাঁচামাল আমদানিতে ৩০ শতাংশ ময়েশ্চার বাদ দিয়ে ট্যাক্স আরোপ করা অথবা কাঁচামাল আমদানির ট্যাক্স মওকুফ করা উচিত।

আমি মনে করি আরও বেশ কয়েকটি বছর এই সুবিধাটা দেওয়া দরকার।
 
‘আমাদের শিল্প, শ্রমিক, গ্যাস থাকলেও কাঁচামালটা আমদানি করতে হয়। বন্দরে এসে তা আবার ২০-২৫ দিন আটকে থাকে। এতে উৎপাদন খরচ ও সময় বেড়ে যায়। ’
 
আর্ন্তজাতিক বাজারে সিরামিকসের চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সেই সুযোগটা আমাদের নিতে হবে। দেশ, শিল্প, রপ্তানির কথা চিন্তা করে এই সম্ভাবনা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। সিরামিকস সেক্টরের কাঁচামাল আমদানি কেন বন্ড সুবিধা পাবে না? সিরামিকের ব্যবহার সহজলভ্য করে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।
 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, দশ বছরে সিরামিক সেক্টরে ৮ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এ খাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০০ শতাংশ। এই সেক্টরে যে হারে প্রণোদনা দেওয়া উচিত তার অনেকটাই ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
 
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমরা সিরামিকের বিশ্ববাজারে চার শতাংশ অবদান রাখছি। আগামী ৫-৭ বছরে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ অবদান রাখতে পারবো। রপ্তানিখাতে সরকার ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। নগদ ১০ শতাংশ প্রণোদনা দিলে এ খাত আরও এগোবে। কারণ আমাদের উৎপাদিত পণ্য আন্তর্জাতিক মানের। আমাদের দক্ষ জনবল ও গ্যাস সহনীয় মূল্যে থাকায় এটা সম্ভব হবে। তবে একটি সমস্যা রয়েছে, আর তা হলো সিরামিকের সব কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। পাশাপাশি আমদানি করা পণ্য লোড-আনলোডে অনেক সময় লেগে যায়।
 
সিরামিক খাতের সম্ভাবনা তুলে ধরে সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছরে এ খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ৫০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করে বছরে আমাদের আয় হয় প্রায় ৫ কোটি ডলার। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ খাতের সঙ্গে জড়িত। বর্তমানে দেশে ৫৪টি প্রতিষ্ঠান সিরামিক পণ্য উৎপাদন করছে। আরও ১২টি উৎপাদনে যাবে।
 
ওয়েম বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এবারের এক্সপো প্রদর্শনীতে একই ছাদের নিচে থাকছে ২০টি দেশের মোট ১২০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫০টি ব্রান্ড। এছাড়া ৩শ’ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ৫শ’ বায়ারস হোস্ট এবারের এক্সপোতে অংশ নেবেন।
 
তিনদিনব্যাপী এ প্রদর্শনী ও সম্মেলনে দক্ষতা উন্নয়ন, ব্রান্ডিং, নতুনত্ব, এসডিজিতে অবদান বিষয়ক পাঁচটি সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। দেশীয় সিরামিক পণ্য বাজারজাতকরণের পাশাপাশি মানুষের  মধ্যে এর ব্যবহার সচেতনতা বাড়াতে নানারকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে থাকছে স্পট অর্ডারের সুযোগ।
 
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এ মেলা দর্শনার্থী, ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দর্শনার্থীদের জন্য রাখা হয়েছে আকর্ষণীয় র‍্যাফেল ড্র’র ব্যবস্থা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
এসই/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।