ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে সবজি-পেঁয়াজের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে সবজি-পেঁয়াজের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কমেছে সবজির দাম। বাজারে সবজিভেদে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সবজির দাম কমলেও অপরিবর্তিত আছে শাকের বাজার। একইভাবে আগের দামে মাছ বিক্রি হলেও কমেছে পেঁয়াজের দর। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। 

অন্যদিকে আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, ডিম, চাল। অপরিবর্তিত আছে গরু-খাসি ও মুরগির মাংস, চাল, ডালের বাজার।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার (খুচরা বাজার), মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, ফকিরাপুল কাঁচা বাজার ও কমলাপুর ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে এসব বাজারে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো (আধা কাঁচা) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ক্ষিরা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম (কালো) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম (সাদা) ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৮০ টাকা, নতুন আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, পুরনো আলু ৩৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৫০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ১৫ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাউ ৩৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি আটি (মোড়া) কচুশাক পাঁচ থেকে সাত টাকা, লালশাক আট টাকা, মুলা ১০ টাকা, পালংশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউশাক ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

এদিকে দাম কমেছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৪০ টাকা কমে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিদরে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজ আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে মিশরের পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, চায়না পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। বর্তমানে কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে।

ইব্রাহিম নামে কারওয়ান বাজারে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবধরনের সবজির দাম কম। তবে আরও কম হওয়া উচিত। বর্তমানে কোনো সবজির ঘাটতি না থাকলেও দাম সে তুলনায় কমছে না।

সাইফুল ইসলাম নামে এ বাজারের এক সবজি বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচামালের সঠিক দাম কেউ বলতে পারবে না। যেকোনো মালের ঘাটতি দেখা দিলে দাম বেড়ে যাবে। কাঁচামাল সরবরাহের ওপর নির্ভর করে।

পেঁয়াজ।  ছবি: বাংলানিউজএদিকে অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার। প্রতিকেজি কাচকি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট পুঁটি (তাজা) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি (গলদা) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি চিংড়ি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৮০ টাকা, কৈ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, কাতল ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি বয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লেয়ার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি ২৬০ থেকে ২৬০ কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৮০ টাকা, বকরি ৭২০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।

আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল। খোলা সয়াবিন (লাল) বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা লিটার, খোলা সাদা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা লিটার।  

এছাড়া অপরিবর্তিত আছে ডিম, চাল, ডাল, আদা, রসুন, সরিষার তেল, এলাচ, দারুচিনি, কাট মসলার দাম।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০ 
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।