ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি পেলেন ফেনীর কৃষকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি পেলেন ফেনীর কৃষকরা

ফেনী: কৃষি যন্ত্রপাতি উন্নয়ন সহায়তা, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সেলের আওতায় ফেনী সদর উপজেলার দুই কৃষককে কৃষি যন্ত্রপাতি দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রপাতির মধ্যে রয়েছে একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও রিপার।

বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানাসহ কৃষি কর্মকর্তারা তাদের হাতে এসব বুঝিয়ে দেন। কাজীরবাগের কৃষক আব্দুল হাই চৌধুরী একটি রিপার যন্ত্র ও ফাজিলপুরের কৃষক ওমর ফারুককে কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলার কাজীরবাগে মালিপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম ভূঞা, ফাজিলপুরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবু তৈয়ব প্রমুখ।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই করার জন্য সরকারের ভর্তুকিতে দুই কৃষককে এসব যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টারের বাজার মূল্য ৩০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এতে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর কৃষক দিয়েছেন ১৬ লাখ টাকা। রিপার বাজার মূল্য ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে ৯০ হাজার টাকা।

কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের উপকারিতা প্রসঙ্গে কৃষি প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন খান বলেন, প্রতি একর কৃষি জমিতে ধান কেটে ঘরে আনতে ১৭ জন শ্রমিকের প্রয়োজন। কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে মাত্র দুই ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়া এবং বস্তাবন্দি করা সম্ভব। আর রিপার দিয়ে ঘণ্টায় এক একর জমির ধান কাটা সম্ভব। এর ফলে কৃষকের সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। কৃষি পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাবে।

উপকারভোগী কৃষক আবদুল হাই চৌধুরী বলেন, আমি রিপার মেশিন নিয়েছি। এ যন্ত্র দিয়ে নিজের জমির পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের ধান কাটা যাবে। যেখানে একজন কৃষকের ১০০শতক জমির ধান কাটতে খরচ হতো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা, সেখানে মেশিনের মাধ্যমে ৫ হাজার টাকায় ১ একর জমির ধান কাটা যাবে। সরকারের এ প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা বাড়তি আয় পাবো।

কৃষক ওমর ফারুক বলেন, এ মেশিনের সাহায্যে অতি অল্পসময়ে ধান ঘরে তোলা সম্ভব। জনবলের জন্য অনেক সময় ফসল ঘরে তুলতে দেরি হয়। অধিক খরচের কারণে লাভ কমে যায়, অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতিও হয়। উন্নত যন্ত্রের ব্যবহারের ফলে কৃষি লাভজনক ব্যবসা হবে।

এর আগে ভর্তুকির জন্য কৃষকের তালিকা চুড়ান্ত করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনীর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন খান জানিয়েছেন, কৃষি শ্রমিকের অভাব, শ্রমিকের উচ্চ মূল্য, কৃষিতে মানুষকে অনাগ্রহী করে তুলছিল। এসব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়া এবং বস্তাবন্দি করলে উৎপাদন খরচ অনেক কমে যাবে। কৃষক অবশ্যই লাভবান হবে। সময় এবং অর্থ দুটোই বাঁচবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২০
এসএইচডি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।