ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চড়া ডিমের বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২০
চড়া ডিমের বাজার ডিম

ঢাকা: ঈদুল আজহার আগে চড়া ছিল মুরগির বাজার। সে সময় ১৩০ টাকার রোস্টের মুরগি বিক্রি হয়েছিল ২০০ টাকায়।

বয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার ঘরে ছিল। তবে ডিমের বাজার ছিল স্বাভাবিক।

ঈদের পর পরই উল্টো ভাব দেখা যায় বাজারে। মুরগির নিম্নমুখী ভাব দেখা গেলেও দাম বেড়েছে ডিমের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে মুরগির। আর ডিম ভেদে ডজনে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, খিলগাঁও, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩৫ টাকা। কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৪০ টাকা।

আর কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, ছোট সোনালি মুরগি প্রতিহালি ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ কেজিদরে, যা ঈদের আগেও একই দামে বিক্রি হয়েছিল।

মুরগির দাম কমলেও দাম বেড়েছে ডিমের। সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বিভিন্ন প্রকারের ডিমে।

এসব বাজারে প্রতিডজন লাল ডিম (ছোট) বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, লাল (বড়) ১২০ টাকায়, দেশি মুরগি ১৭০ টাকায়, সোনালি মুরগির ডিমি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হাঁস ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

অপরদিকে মুরগির সঙ্গে দাম কমেছে মাছ বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে এসব বাজারে প্রতিকেজি কাচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতলা ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

সবচেয়ে বেশি দাম কমেছে ইলিশের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ইলিশের দাম। বর্তমানে এসব বাজারে সোয়া কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। এছাড়া ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।

মুরগির দাম নিয়ে খিলগাঁও বাজারে মুরগি ব্যবসায়ী বোরহান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগে রোস্টের মুরগির চাহিদা বেশি থাকলেও মুরগি বেশি ছিল না। এতে কিছুটা দাম বেড়ে যায়। এখন মুরগির দাম আগের মতোই। তবে বিক্রি কমে যাওয়ায় দাম কমে গেছে পাইকারি বাজারে। তাই খুচরাতে কমেছে।

শান্তিনগর বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মুখলেস বাংলানিউজকে বলেন, এখন নদী ও সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। এ কারণে ইলিশের দাম কমেছে। আর ইলিশের দাম কমায় অন্য সব মাছের দাম কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২০
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।