ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরবরাহ বাড়লেই ভাসমান বাজারে কমে আমড়ার দাম

মুশফিক সৌরভ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২০
সরবরাহ বাড়লেই ভাসমান বাজারে কমে আমড়ার দাম

ঝালকাঠি: নদী আর খালে বেষ্টিত দক্ষিণাঞ্চলে আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনার ছোঁয়া লেগেছে বহু বছর আগে। একই জমিতে নানা ধরনের ফসল ফলানো, নালা কেটে মাছ চাষ ও ফসল ফলানো এবং ভাসমান ধাপে সবজির চাষ এ অঞ্চলে বেশ জনপ্রিয়।

এসব কারণে এরইমধ্যে গোটা দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছে বরিশালের পেয়ারা, আমড়া, লেবু, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা কলাসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফলের।

এবারেও বরিশাল বিভাগের মধ্যে ঝালকাঠি জেলায়, বিশেষ করে সদর উপজেলায় আমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। পাশাপাশি পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলাতেও আমড়ার ফলন ভালো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। তাই পেয়ারার পাশাপাশি প্রতিদিন ঝালকাঠির সদর উপজেলার ভিমরুলি ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানার খালের ভাসমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে আমড়া।

যেখান থেকে নৌ ও সড়ক পথে সারা দেশে সরবরাহ করা হচ্ছে আমড়া।  

ঝালকাঠির ভিমরুলি গ্রামের পেয়ারা ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, দেশব্যাপী বিপুল চাহিদা থাকায় ও লাভজনক হওয়ার কারণে দিন-দিন ঝালকাঠিতে বেড়ে চলেছে পুষ্টিকর ফল আমড়ার চাষাবাদ। ঝালকাঠি সদরের ভিমরুলি-নবগ্রাম এলাকার সীমান্তবর্তী বরিশাল সদর, বানারীপাড়া ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলাতেও আমড়ার চাষ হচ্ছে। তাই আমড়ার মৌসুমে ঝালকাঠির বিভিন্ন হাটে রমরমা বেচাকেনা চলে।  যারমধ্যে ঝালকাঠির ভিমরুলির ভাসমান হাটটি সবথেকে বড়।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো বছর আমড়ার দাম বেশি থাকলে কোনো বছর কমেও যায়। আর এভাবেই মণপ্রতি আমড়া কখনো ১২শ টাকায় আবার কখনো ১৫শ বা তার অধিক টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে ভিমরুলির ভাসমান হাটে। তবে ভরা মৌসুমে আমড়ার দর কিছুটা কমই পাওয়া যায়।

যদিও বাগান মালিকরা বলছেন, পিরোজুপরের নেছারাবাদ, ঝালকাঠি সদর, বরিশাল সদর ও বানারীপাড়া উপজেলাগুলতে বাগানে পেয়ারা, আমড়া, লেবুসহ বহু ধরনের দেশিয় ফল উৎপাদন করা হচ্ছে। সর্জান পদ্ধতিতে এসব ফলের চাষ করার সুবিধা অনেক। এই ফলের কান্দিতে নানা ধরনের সবজি উৎপন্ন করা হয় বলে চাষিরা কম জায়গায় নানা ধরনের ফল ও শাক সবজির বাগান একত্রে করতে পারে। এতে কম খরচ ও কম জমিতে অধিক লাভবান হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা আমড়া, পেয়ার, পেপে, লেবু, মাল্টাসহ নানা ধরনের সবজি চাষে আগ্রহী হয়েছে। চাহিদার তুলনায় ফলন ভালো হলে সেবছর দর কিছুটা কমে যায়।
 
মাটি কেটে কান্দি বানিয়ে সর্জান পদ্ধতিতে চাষ এ অঞ্চলে বহু আগে থেকে হয়ে আসছে জানিয়ে কৃষিবিদ ড. চিত্ত রঞ্জন সরকার জানান, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলে পেয়ারা চাষ খুব লাভজনক হয়ে উঠছে। হালকা বেলে ও দো-আঁশ মাটিতে পেয়ারা-আমড়া ভালো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২০
এমএস/এইচএডি

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।