ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারি দাম মানছে না কেউ, ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
সরকারি দাম মানছে না কেউ, ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আলু ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: সরকার নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। দাম নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারদের এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দোষারোপ করছেন।

তবে ভুক্তভোগী সেই সাধারণ ক্রেতারাই। সরকারি ঘোষণার পরও দাম না কমায় ক্ষুব্ধ তারা।

বুধবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর ১৩ নম্বরের খুচরা বাজার এবং মিরপুর ১ নম্বরের পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ৩৫ টাকা বিক্রির কথা থাকলেও প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। পাইকারি পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত ৩০ টাকার পরিবর্তে আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৯ টাকা দরে।

মিরপুর ১৩ নম্বর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখে যায়, বেশির ভাগ দোকানে আলুর সরবরাহ কম। এই বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায়।

মিরপুরের বাসিন্দা ইউনুস মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে আলুর সরবরাহ কম। ৪৮ টাকা দরে আলু কিনেছি। এখানে সরকার নির্ধারিত দামে কেউই আলু বিক্রি করছে না।

মিরপুর ১৩ নম্বরের খুচরা বিক্রেতারা আলুর দাম বেশির জন্য পাইকারদের দোষারোপ করে বলেন, আমাদের কেনা বেশি তাই বেচাও বেশি। তারওপর ঘাটতি আছে, যাতায়াত খরচ আছে।

মিরপুর ১ নম্বর পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এখানে পাইকারি পর্যায়ে ৩৫-৩৯ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এখানে কমপক্ষে এক পাল্লা (৫ কেজি) আলু কিনলে দাম রাখা হচ্ছে ৪৪ টাকা করে।

মিরপুর ১ নম্বরের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে আলু বিক্রির জন্য কোল্ডস্টোরেজ মালিকদের দোষারোপ করছেন। তারা বলছেন, কোল্ডস্টোরেজ মালিক মালিকরা কম দামে আলু না দিলে আমরা কিভাবে কমে বিক্রি করবো। কোল্ডস্টোরেজগুলো আলুর দাম তাদের কাছে ৩২/৩৩ টাকা দরে রাখছেন বলে দাবি করেন এসব ব্যবসায়ীরা।

সরকার আলুর দাম কোল্ডস্টোরেজ পর্যায়ে প্রতিকেজি ২৭ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

এসব ব্যবসায়ীরা পাইকারি ও খুচরা বাজারের আগে কোল্ডস্টোরেজগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জানান। কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা সিন্ডিকেট করে বাজারে আলু কম সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।

সোনার বাংলা বাণিজ্যলয়ের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইমাম হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আলুর দাম কমাতে হলে আগে গোড়ায় হাত দিতে হবে।  কোল্ডস্টোরেজগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা উচিত।

মতিন বাণিজ্যালয়ের আব্দুল মতিন এবং পিয়াস ট্রেডার্সের কবির হোসেন বলেন, খুচরা ও পাইকারি বাজারে মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি বড় সিন্ডিকেট ধরতে কোল্ডস্টোরেজগুলোতে অভিযান চালানো উচিত। কোল্ডস্টোরেজগুলো আলুর দাম বেশি রাখলে অথবা আলুর মজুদ থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ না করলে আলু উদ্ধার করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া উচিত।

খুচরা ক্রেতা আব্দুর রহমান বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও বাজারে আলুর দাম বেশি। এটা খুবই দুঃখজনক।

অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত দাম বাজারে কার্যকর করতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।