ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পুরোপুরি পরিশোধ নভেম্বরে: পাটমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
পাটকল শ্রমিকদের পাওনা পুরোপুরি পরিশোধ নভেম্বরে: পাটমন্ত্রী

ঢাকা: আগামী মাসের (নভেম্বর) মধ্যে সব মিলের শ্রমিকদের পাওনা সম্পূর্ণরূপে পরিশোধ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৮টি মিলের শ্রমিকদের পাওনা বাবদ মোট ১৭শ ৯০ কোটি ৫২ লাখ টাকা অর্থ বিভাগ থেকে পাওয়া গেছে।

যা শ্রমিকদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামের হাফিজ জুট মিল ও খুলার ইস্টার্ন জুট মিল শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের কার্যক্রম শুরু হবে।

বুধবার (২১ অক্টোবর) সচিবালয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে বিজেএমসির বন্ধ ঘোষিত মিলের অবসরপ্রাপ্ত ও অবসানকৃত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

বেসরকারিখাতে নতুন করে মিলগুলো চালু করা হবে। সেই উদ্যোগটা আমরা কবে থেকে দেখতে পাবো তা জানতে চাইলে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, আমরা প্রথমে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করবো। এরপর ব্যাংক লোনসহ বিভিন্ন পাওনা পরিশোধ করবো। এর মধ্যে আমাদের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা চলবে। আমরা বসে নেই। পিপিপি প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগবে। প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব বন্ধ মিলগুলো আধুনিকায়ন করে পুনরায় চালু করতে।  

‘আমাদের পুরনো মেশিন আছে, সেগুলো কারা নেবে। সেগুলো বিক্রি করার পর আধুনিকায়ন করতে হবে। আর যারা নেবে তারা আধুনিকায়ন করবে, তাদের তো সে সময়টা দিতে হবে। একটি মেশিন আনতে গেলে দুই মাস সময় লাগে। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। আর একটা বিষয় যারা লিজ নেবে তারা পুরাতন মেশিন নেবে কিনা সে বিষয়সহ লিজ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। সব মিলিয়ে সামনের বছরের শুরুর দিকে লিজ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে আশা করা যায়। ’

পাটমন্ত্রী বলেন, বন্ধ ঘোষিত পাটকলের শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের পাশাপাশি সার্বিকভাবে পাটখাতকে পুনরুজ্জীবিত এবং মিলগুলোকে উপযুক্ত মডেলে আধুনিকায়ন ও পুনঃচালুর লক্ষ্যে দু’টি আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। মিলে আগের অভিজ্ঞ শ্রমিকরা পুনঃকর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।

পাটকল বন্ধের ফলে উৎপাদিত পাটপণ্যগুলো যেমন চট, ছালা ও বস্তা এখন কোথা থেকে আসবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাটকল বন্ধ হওয়ায় আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি যাতে ধ্বংস না হয় সেজন্য আমরা এ কাজ করেছি।  

পলির বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ বা সোনালি ব্যাগ আনার যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সেটা এখন কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু কিছু চোরাই পলি ব্যাগ বাজারে আসবে ও থাকবে। আমরা সবসময় মোবাইলকোর্ট দিয়ে অভিযান চালাচ্ছি। জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া আছে তারা অভিযান চালাচ্ছেন।  

তিনি বলেন, পাটের সোনালি ব্যাগ নিয়ে গবেষণা চলছে। আমরা শ্রমিকদের গোল্ডেন হ্যান্ডসেক করার পর এ বিষয়ে কাজ করবো। যেহেতু আমরা একটি ফেসে আছি, তাই এটা নিয়ে কী করবো পরবর্তীসময়ে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।