ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীকে হয়রানির প্রতিবাদে বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীকে হয়রানির প্রতিবাদে বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল বন্দরে চোরাচালানে সহযোগিতার অভিযোগ এনে কাস্টমস কর্তৃক এক সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যকে লাঞ্চিত, কার্ড বাতিল ও মামলা প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে পণ্য খালাস ও আমদানি রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এসময় তারা কাস্টমস হাউজের সামনে হয়রানি বন্ধে দবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের এ প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করা হয়।

এদিকে কাস্টমসের এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা প্রতিবাদ জানিয়ে কাস্টমস হাউজের সামনে প্রতিবাদ সভা করেছে। চলমান সমস্যার সমাধান হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস ও আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে বলে জানায় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনে কর্মকর্তারা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান জানান, অপরাধ করবে ভারতীয় ট্রাক চালক আর তার দোষ পড়বে সিঅ্যান্ডএফ স্টাফদের ওপর। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য না। তবে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার (এডি) ডা. নিয়ামুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি ভারতীয় বৈধ আমদানি পণ্যের ট্রাকের সঙ্গে কিছু অবৈধ মালামাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা বন্দরের ভারতীয় ট্রাক টার্মিনালে অভিযান চলায়। এসময় ভারতীয় তুলার ট্রাক থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ও কয়লার ট্রাক থেকে কিছু ভারতীয় ওষুধ উদ্ধার করি। এই কয়লার ট্রাকের বর্ডার ম্যান আক্তারুজ্জামান আক্তারকে আটক করে তার কার্ড সিচ করে নেওয়া হয়েছে। এবং এই কর্মচারি কার্ড সিচ করে নেওয়ার কারণে সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে।

ভুক্তভোগী সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্য আক্তারুজ্জামান আক্তার জানান, বুধবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কয়লার ট্রাকটি যখন বাংলাদেশে প্রবেশ করে তখন আমি বর্ডারের কার্গো শাখা থেকে ওই পণ্যের মেনিফিশ নম্বর ও ইনভয়েস তুলে বাড়িতে চলে আসি। পরবর্তীকালে রাতে কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাকে ফোন করে বন্দরের ট্রাক টার্মিনালে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি একটি ট্রাক থেকে ফেনসিডিল ও আমি যে ট্রাকটির কাগজপত্র তুলি সে ট্রাকটি থেকে ওষুধ উদ্ধার করে। তখন কাস্টমস কর্মকর্তার আমার কাছ থেকে কাস্টমস কার্ডটি নিয়ে নেয় এবং ট্রাকটি ও আমাকে নিয়ে কাস্টমস হাউজের মধ্যে আসে। পরে তারা একটা কাগজে আমার সই নিয়ে কাস্টমস কার্ড সিচ করে নিয়ে রাত ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়। এবং কাস্টমস কর্মকর্তারা বলে অবৈধ পণ্য আনার অপরাধে আমার নামে মামলা হবে বলে জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।