ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্লাউড কিচেনের কারণে বদলে যাচ্ছে দেশের রেস্টুরেন্ট শিল্প

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
ক্লাউড কিচেনের কারণে বদলে যাচ্ছে দেশের রেস্টুরেন্ট শিল্প

ঢাকা: যদিও ধারণাটি ইতোমধ্যে এশিয়ায় রয়েছে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘দাহমাকান (পপ মিলস)’ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ‘রেবেল ফুডস’র মতো ব্র্যান্ডগুলোর মাধ্যমে সফলভাবে পরীক্ষিত হয়েছে। তবে, দেশে ক্লাউড কিচেন চিত্রটি এখনও উন্মেষকালে রয়েছে এবং এটি উত্তরোত্তর বাড়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে।



সাম্প্রতিককালে, এটি অনেকের আগ্রহের স্থান হয়ে উঠেছে এর ঝামেলাবিহীন ক্রিয়াকলাপ, নির্ভরযোগ্য লভ্যাংশ, ক্রমবর্ধমান গ্রাহক সংখ্যা এবং স্বল্প মূলধন ও ব্যয়ের কারণে।  
এই ক্লাউড কিচেনের মূল ধারণাটি তাহলে কী? ক্লাউড কিচেন অথবা, গোস্ট কিচেনগুলো অনলাইনভিত্তিক ইন্টারনেট রেস্তোঁরা, যাতে সাধারণ রেস্তোরাঁর মতো কোনো ডাইন-ইন সুবিধা নেই।  

খাবারগুলো শুধুমাত্র ফুড পার্টনার অ্যাপ (যেমন হাংরিনাকি বা পাঠাও ফুড) অথবা নিজস্ব ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে উপলভ্য। যেহেতু এই ইন্টারনেট রেস্তোঁরাগুলোর শুধুমাত্র বাণিজ্যিক রান্নাঘর রয়েছে, তাই ডাইনে-ইন অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা না করে তারা খাদ্য প্রস্তুতকরণ এবং গ্রাহকের চাহিদাকে সন্তুষ্ট করতে অতিরিক্ত যত্ন নিতে পারে।

ঢাকা বা চট্টগ্রামের মতো মহানগরে, কঠিন প্রতিযোগিতা এবং নিম্ন লাভের সমন্বয়ে অনেক রেস্তোঁরাই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে, অপরদিকে ঘরে বসে অর্ডার করার প্রতি গ্রাহকের আগ্রহ ক্রমে বাড়চ্ছে। গ্রাহক পছন্দের এই পরিবর্তনটি রেস্তোঁরা শিল্পকে ব্যাহত করেছে কেননা স্বাচ্ছন্দের কাছে ডাইন-ইন অভিজ্ঞতা হার মানছে। ফলে, নতুন উদ্যোক্তাদের এই শিল্পে প্রবেশের পথ প্রশস্ত হচ্ছে এবং ক্লাউড কিচেন মডেলটি ব্যবহার করে প্রচলিত ইট কাঠের রেস্তোরাঁর ধারণাকে বদলানো সম্ভবপর হচ্ছে। এফঅ্যান্ডবি শিল্পে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি হলেও ক্ষুদ্র ব্র্যান্ডগুলকে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই সর্বদা চালিয়ে যেতে হবে। সুতরাং, ক্লাউড কিচেন-কেন্দ্রিক মডেলটি সবদিক দিয়ে আকর্ষণীয় কারণ এতে একটি পূর্ণাঙ্গ ডাইন-ইন রেস্তোরাঁ খোলার জন্য উচ্চ মূলধনের প্রয়োজন হয় না।

এই ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উদ্যোক্তাদের একজন সৈয়দ তাহমিদ জামান একটি ইন্টারনেট রেস্তোরাঁ প্রতিষ্ঠা করেছেন । এর মাধ্যমে তিনি পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ৬শ’র বেশি ইন্টারনেট-রেস্তোরাঁ চালু করার পরিকল্পনা করছেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে চালু হওয়ার পরে, গোস্ট কিচেন বাংলাদেশ নামক তার উদ্যোগটি ইতোমধ্যে মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ৪টি ইন্টারনেট রেস্তোঁরা খুলতে সক্ষম হয়েছে এবং আগামী দুই মাসের মধ্যে আরও ৫টি শুরু করার আশা করছে। ‘আমরা ঢাকার ফুডটেক সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি স্টার্টআপ এবং আমরা এখনও খুব প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। এখন আমাদের প্রাথমিক ফোকাসটি এই নতুন ব্যবসার মডেলটি প্রমাণ করার দিকে রয়েছে। যখন আমাদের নিজস্ব কিচেনগুলো ব্রেক-ইভেন পর্যায়ে পৌঁছাবে, তখন আমরা সারা দেশে দ্রুত স্কেল আপ করার জন্য আমাদের ‘ফুলফিলমেন্ট পার্টনার’ স্কিমটি চালু করব। স্টার্টআপ সংস্থাটি তেজগাঁওয়ের কিচেনের পাশাপাশি মগবাজার ও বনানীতে আরও দুটি স্যাটেলাইট কিচেন খুলেছে।  

তিনি বলেন, ক্লাউড কিচেনগুলো বাসায় খাওয়া এবং হোম ডেলিভারি এর প্রতি ভোক্তাদের আগ্রহ এর কারণে গতি পাচ্ছে, যা আমি বিশ্বাস করি অবশ্যই এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। দেশে এর বৈদেশিক বাণিজ্যের কারণে তৈরি হওয়া সব কর্মসংস্থানের সুযোগ এর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। স্থানীয় স্টার্টআপগুলোতে গোজেক, ৫শ স্টার্টআপস এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়ালসের সাম্প্রতিক বিনিয়োগগুলোর কারণে অনেক ক্ষেত্রেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ভারত থেকে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ, স্টার্টআপ বিনিয়োগের জন্য একটি আকর্ষণীয় হাব পরিণত হয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) স্টার্টআপ সংস্থা থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।