ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে চাল-মুরগির দাম, কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-ডিমের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
বেড়েছে চাল-মুরগির দাম, কমেছে পেঁয়াজ-সবজি-ডিমের

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে চাল ও ব্রয়লার-সোনালী মুরগির। তবে দাম কমেছে ডিম, পেঁয়াজ ও সবজির।

অপরদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে তেল, আলু এবং গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১ নম্বর বাজার, ২ নম্বর বাজার, ৬ নম্বর বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কলোনি বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, শালগম বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, গাজর ৩০ টাকায়, শিম ২০ টাকায়, বেগুন ৩০ টাকায়, করলা ৪০-৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, পাকা টমেটো ৩০ টাকায়, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ২৫ টাকায়, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ আকার ভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকায়, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে।

হালিতে ৫ টাকা কমে কলা ১৫ থেকে ২০ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, রসুনের কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায়, মিনিকেট ৬৫ থেকে ৬৬ টাকায়, নাজির ৬৫-৬৮ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা ভোজ্যতেল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।

ডিমের দাম ৫ টাকা কমে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়।  

দাম বেড়ে সোনালী মুরগি (কক) ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় ও ব্রয়লার ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগিবিক্রেতা মো. আসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালে পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে।  

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস এবং মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকায়, গরুর মাংস ৫৫০ টাকায়, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাগুর মাছ ৬০০ টাকা, প্রতি এক কেজি শিং মাছ (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১০০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০ আগের ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কার্প ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, দেশি কৈ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০, রিঠা মাছ ২২০ ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, ছোট বেলে ১২০, রূপচাঁদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের ফরিদপুর অয়েল অ্যান্ড ঘি স্টোরের মালিক মো. মহিউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় সারাবিশ্বে প্রায় সব কিছুই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনায় লকডাউনের সময় তেল উৎপাদন পুরোদমে বন্ধ ছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যায়। এ কারণেই খুচরা বাজারেও তেলের দাম বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম না কমায় খুচরা বাজারেও দাম কমছে না। আগামীতে তেলের দাম আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২১
এমএমআই/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।