ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজিএমইএ নির্বাচনে স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
বিজিএমইএ নির্বাচনে স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল ঘোষণা

ঢাকা: দেশের তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৪ এপ্রিল। এতে অংশ নেওয়ার জন্য প্যানেল ঘোষণা করেছে স্বাধীনতা পরিষদ।

নির্বাচনে জয়ী হলে পোশাক খাতে চলমান সংকট নিরসন, পণ্যের দাম নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ, সব লাইসেন্সের মেয়াদ তিন বছর করাসহ ছয়টি পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়নে কাজ করবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে স্বাধীনতা পরিষদ।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্পর্কে স্বাধীনতা পরিষদের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণার পাশাপাশি নিজেদের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন প্যানেল নেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী হলে এ মুহূর্তের অন্যতম সংকট পণ্যের দাম নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা দূর করে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে। আমরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছি না। এর সুফল নিচ্ছেন ক্রেতা বা বায়ারররা। আমরা মনে করি বিজিএমইএ ইউডি ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রোডাক্ট কস্ট বিশ্লেষণ করে ন্যূনতম সিএম-এর নিশ্চয়তা বিধান করতে পারে। এ কাজটি করতে পারলে আবারও শিল্পের বিকাশ হবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য স্বতন্ত্র নিরাপত্তা মানদণ্ড তৈরি করা হবে। শ্রম আইনের অচল ধারাগুলো সংশোধন করে যুগোপযোগী করা হবে। প্রত্যেক বায়ারের জন্য ইউনিফাইড কোড অব প্রাকটিস তৈরি করা হবে। নতুন বাজার সম্প্রসারণে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে আরএমজি উইং খোলা এবং এ উইং থেকে পণ্যের ব্র্যান্ডিং, বায়ার সম্পর্কে তথ্য দেওয়া ও বায়ারের সঙ্গে কোনো মতবিরোধ হলে তার সমাধানে উদ্যোগী হওয়া।

ট্রেড লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স, বন্ড লাইসেন্স, পরিবেশ লাইসেন্সসহ অন্য লাইসেন্সের মেয়াদ কমপক্ষে তিন বছর করা। বর্তমানে এসব লাইসেন্সের নবায়ন ফি এবং বিবিধ ফির নামে একটি ছোট কারখানা মালিককে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয় প্রতিবছর। এ অর্থ দিতে না হলে সে লাভজনকভাবে কারখানা চালাতে পারবে।

এ সময় তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে, যা কেবল করোনার কারণে নয় বরং নেতৃত্বহীনতা, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, আইনি সংস্কার করতে না পারায় অনেক গার্মেন্টস বন্ধের কারণ হয়ে থাকবে। এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, গেল বছর বিজিএমইএ’র নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। ভোটও কারচুপির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্বাধীনতা পরিষদের কোনো প্রতিনিধিকে ভোটের দিন অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।  

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে হয়তো গেল বারের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। বিজিএমইএ যেন রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত না হয় সেজন্য নির্বাচনে অংশ নেওয়া জরুরি বলেও জানান তারা।  

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, স্বাধীনতা পরিষদে এখন অব্দি প্যানেল ঘোষণা না করলেও ঢাকায় ২৬ জন পরিচালক নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক।

এ সময় প্যানেলের পক্ষে শওকত হোসেন, হুমায়ন রশিদ জনি, দেলোয়ার হোসেন, জহির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১
এসই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।