সিলেট: সিলেটে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাংকপাড়ায় ছিল গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। নগরের ব্যাংকগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইন থাকলেও গ্রাহকদের মধ্যে তেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি।
রোববার (৯ মে) সিলেটের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন স্টেডিয়াম শাখাসহ বিভিন্ন ব্যাংক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় গ্রাহকরা লাইনে দাঁড়ালেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো তোয়াক্কা করেনি। একে অন্যের সঙ্গে গা ঘেঁষে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এ সময় অনেকের মুখে মাস্ক থাকলেও রাখা ছিল থুতনির নিচে। আর ব্যাংকের প্রবেশ পথে গ্রাহকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার করে ঢুকতে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে নিরাপত্তা প্রহরীদের। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন ব্যাংকের নিচ থেকে প্রবেশদ্বার পর্যন্ত ছিল নারী ও পুরুষ গ্রাহকের দীর্ঘ লাইন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকের লেনদেন ২টা পর্যন্ত। তবে এ সময়ের মধ্যে ফটকের মধ্যে যারাই ঢুকে যাবেন তাদের লেনদেনের সুযোগ দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে জোর তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে অতিরিক্ত গ্রাহক উপস্থিতির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
এছাড়াও নগরীর আম্বরখানা এলাকার সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে লেনদেন করতে গ্রাহকের ভিড় ছিল লক্ষণীয়।
নগরের একটি বেসরকারি ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে আসা পঞ্চাশোর্ধ্ব সামসু মিয়া বলেন, ঈদের আগে গ্রাহকের চাপ বেশি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য ব্যাংকের লেনদেনের সময় আরো বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। সময় বেশি পেলে লোকজনকে এত ভোগান্তিতে পোহাতে হতো না।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকের সময় নির্ধারণ আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত। কেবল ব্যাংকে প্রবেশে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষীরা মাস্ক ছাড়া কাউকে ব্যাংকের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না। কিন্তু ব্যাংকে সেবা নিতে আসা লোকজন লাইনে দাঁড়ালে নিজেদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধে মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৬ মে পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে সরকার। এ বিধিনিষেধের মধ্যে ব্যাংকের লেনদেনের সময়সীমা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৬ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২১
এনইউ/আরআইএস