ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রধানমন্ত্রীর সঠিক উদ্যোগে মাথাপিছু আয়ে বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
প্রধানমন্ত্রীর সঠিক উদ্যোগে মাথাপিছু আয়ে বেড়েছে: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: করোনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর একের পর এক সময়োপযোগী প্যাকেজ ও সঠিক উদ্যোগের কারণে মাথাপিছু আয়ে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

তিনি বলেন, আপনাদের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে শিকার করতে হবে আমরা আগের চেয়ে অনেক ভালো করছি।

ভালো করার পেছনে যুক্তি হলো প্রধানমন্ত্রী সময়োপযোগী, সময়মতো ও প্রণোদনা দিয়েছেন যা প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছেছে। সে কারণেই টাকার সাপ্লাই এখন বেশি। বিশেষ করে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতি এখন অনেক ভালো। আমাদের আমদানি আগের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে।  

বুধবার (১৯ মে) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।  

বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।

দেশের মাথাপিছু আয় ১৬৩ ডলার বেড়েছে, একদিকে করোনায় অর্থনীতি চাপে ছিলে। অর্থনীতির কোন দিকটা ভালো হওয়ার কারণে মাথাপিছু আয়টা বেড়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনার সময় যে সাহসী প্যাকেজগুলো নিয়েছেন একের পর এক এবং সবগুলো ক্ষেত্রেই তিনি স্পর্শ করেছেন। সে কারণেই আমাদের সামস্টিক অর্থনীতির প্রত্যেকটাই এখন উন্নতির দিকে, নেগেটিভ কিছু নেই। আমাদের মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪৭ যা আগের মতোই আছে। দুর্যোগের মধ্যেও এপ্রিল পর্যন্ত আমাদের পণ্য রপ্তানি ৩২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যেটার গ্রোথ ৮ দশমিক ৭ শতাংশ।  

‘রেমিট্যান্সের গ্রোথ হলো ৪০ শতাংশ। ১১ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভে গত জুনে ছিলে ৩৬ বিলিয়ন ডলার, এখন এটি ৪৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এ মাসেই এটি ৪৫ বিলিয়ন ডলার হয়ে যাবে। আমরা আশা করি আগামী অর্থবছরে নিঃসন্দেহে এটা ৫০ বিলিয়ন ডলার টাচ করবে। ’

এসএমই খাতের বরাদ্দের টাকা দেওয়া যায়নি, এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সিস্টেমে নিয়ে দিচ্ছি এটা। কোনো মিডল ম্যানকে ইউজ করছি না। মিডল ম্যান ইউজ করলে যাদের টাকা দিচ্ছি তারা পেতো না। সেজন্য যাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর নেই তাদের যার যে মাধ্যম আছে সেটি দেখেশুনে দেওয়া হচ্ছে। ১০ টাকা দিয়ে অ্যাকউন্টের বিষয়টি আনা হয়েছিল যাতে তারা ব্যাংকমুখী হয়। সেটি করে আমরা তাদের ব্যাংকে অভ্যস্ত করার চেষ্টা করেছি। আমরা যে সাহায্য দেবো ব্যাংকে দেবো বলেই তাদের ব্যাংকমুখী করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।