ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে রেস্তোরাঁ খুলতে চান মালিকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২১
৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে রেস্তোরাঁ খুলতে চান মালিকরা সংবাদ সম্মেলন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে হোটেল-রেস্তোরাঁ চালু রাখতে চেয়েছে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। আর তা সম্ভব হলে স্বাভাবিক নিয়মে পুরোদমে রেস্তোরাঁগুলো চালু রাখতে চায় ওই সংগঠন।

 

শনিবার (২২) রাজধানীর বিজয়নগরে সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারের কাছে এই দাবি তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান।  

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁখাতে কর্মরত শ্রমিকদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রণোদনা দিতে হবে। অথবা নিদিষ্ট কার্ড দেওয়ার মাধ্যমে মাসিক খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে পারে সরকার। যদিও এখন পর্যন্ত এ খাতের শ্রমিকদের কোনো প্রণোদনা দেয়নি সরকার।  

হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা চলমান রাখার জন্য ক্যাপিটাল হিসেবে এসএমই খাত থেকে বিনা সুদে জামানতবিহীন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করতে হবে। জরিমানা ছাড়া করোনাকালীন বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধের সময় দিতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে বাড়িভাড়া মওকুফ ও পরিশোধে সময় দিতে হবে।  
সেবাখাত হিসেবে হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিক-মালিকদের করোনাযোদ্ধা ও ফ্রন্টলাইনার ঘোষণা এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা প্রদানে সরকারের নির্দেশনা চায় সংগঠনটি।  

চলমান মহামারির মধ্যেও ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে হোটেল মালিকদের উপর অসহনীয় আচরণ থেকে পরিত্রাণ প্রার্থনা করেছেন নেতারা।  

বর্তমানে চালু হোটেলগুলোতে টেকওয়ে, পার্সেল ও অনলাইন ডেলিভারির সংখ্যা মাত্র ২-৩ শতাংশ। অনলাইন ডেলিভারির সুযোগ দিয়ে রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা দুরভিসন্ধিমূলক। এখানে দেশি-বিদেশি স্বার্থন্বেষী মহলের হাত রয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা উচিত।  

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মহামারী করোনার কারণে এ পর্যন্ত ৩০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ গেছে। একই সময়ে আর্থিক সংকটে ৫০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁর মালিকানা বদল হয়ে গেছে। আর ক্ষতি হয়েছে ৫০-৬০ হাজার কোটি টাকা।  

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, গেলো বছরে করোনার সাধারণ ছুটির পর দেশের স্বনামধন্য হোটেলগুলোর কাস্টমার ৭৫ শতাংশ ফিরেছিল। আর বাকি হোটেলগুলোর কাস্টমার ফিরেছিল ৫০ শতাংশ।  হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ৩০ শতাংশ কর্মচারী ও ২ কোটি মানুষের জীবিকা নির্বাহ করেন। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার অন্যান্য সকলখাতের জন্য সহায়তা, প্রণোদনা দিলেও হোটেল-রেস্তোরাঁর জন্য কিছুই করেনি।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি, উপদেষ্টাসহ অন্যান্য নেতারা।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২১
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।