বান্দরবান: পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ফলের বাজার ভরে গেছে মধুমাসের রসালো ফলে। সুস্বাদু ফলের অধিক সরবরাহ থাকায় রসালো ফলে সয়লাব জেলা সদরের বাজারগুলো।
সরেজমিনে বান্দরবান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বান্দরবান বাজারের বিভিন্নস্থানে আম, লিচু, তাল, কাঁঠাল আর কলা নিয়ে বসেছে মৌসুমি ফল বিক্রেতারা আর বাজার জমে উঠেছে কেনাকাটায়। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু তবে আম ও রয়েছে বাজার জুড়ে।
গতবারের তুলনায় এবার মৌসুমি ফলের ফলন ভালো হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দাম এখনও সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। প্রতিকেজি সুস্বাদু স্থানীয় জাতের আম যথাক্রমে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, একইভাবে ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।
পাইকারি ফল বিক্রেতা সোহেল বাংলানিউজকে জানান, কেরানীহাট থেকে আনারস কিনে আনলাম, বান্দরবানে আনারসের প্রচুর চাহিদা। ছোট-বড় সব আনারসই মিষ্টি। ছোট আনারস ৬০ টাকা জোড়া আর বড়গুলো ১০০ থেকে ১২০টাকা। প্রচণ্ড গরমে আনারস বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে।
ফল বিক্রেতা মো. নাছির বাংলানিউজকে বলেন, বান্দরবানে এখন তাল বেশ ভালো বিক্রি হচ্ছে। ছোট তাল প্রতিপিস ১৫-২০ টাকা আর বড়তাল ৩০-৪০ টাকা বিক্রি করছি। অনেকেই রাস্তার ধারেই তাল কেটে খাচ্ছে আর অনেকে ব্যাগে করে পরিবারের জন্য নিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, মধুমাসের রসালো ফলের সরবরাহ বাড়ায় সন্তুষ্ট ক্রেতারা। পার্বত্য জেলা বান্দরবানে উৎপাদিত ফলে বিষাক্ত কোনো ফরমালিন ব্যবহার না করায় ক্রেতারা ও কিনছে নির্দ্বিধায়।
বাজারে আম কিনতে আসা ক্রেতা রফিক বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে অনেক ফল উঠেছে, আম কিনবো নাকি লিচু না তাল বুঝতে পারছি না। বাজারে ফলের এই মজুদ দেখে সত্যিই ভালো লাগছে, সার্মথ্য অনুযায়ী ক্রয় করে পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মেটাচ্ছি।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বাংলানিউজকে বলেন, বান্দরবানে এখন বাজারজুড়ে অসংখ্য মৌসুমি ফল রয়েছে। আর আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিদিনই আমাদের যেকোনো একটি ফল খাওয়া প্রয়োজন। ফলের মাধ্যমে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে পুষ্টির চাহিদা অনেকটাই পূরণ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭২৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২১
এনটি