পঞ্চগড়: বাংলাদেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর (ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান একতরফা বন্ধের কথা বলেন। কিন্তু বন্দরের আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন এমন কোনো নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার (২৮ মে) দুপুরে পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আমদানিকারক টি-ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকার পরেও স্বার্থান্বেষী কিছু লোক এমন কথা রটিয়েছে। যা বন্দরের রাজস্ব আয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
টি-ইসলাম অভিযোগ তুলে বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমাদের (আমদানিকারক, ব্যবসায়ী ও অ্যাসোসিয়েশন) কোনো কিছু জানানো হয়নি। বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন একাই জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে বন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, যা ভিত্তিহীন। বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
পঞ্চগড় আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ ও ব্যবসায়ী মোজাফ্ফর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সংসদ সদস্য এবং জেলা প্রশাসকের স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নির্দেশনা মেনে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল ব্যবসায়ীরা। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে বর্তমানে সংক্রমণ অনেক কমে গেছে। ভুটানে কিছু পয়েন্টে লকডাউন শিথিল করে লোডিং কার্যক্রম চালু হয়েছে। বাংলাদেশেও দূরপাল্লার যান চলাচল শুরু হয়েছে। সেখানে চর্তুদেশীয় বন্দরটিতে এলাকাবাসীর দোহাই দিয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি মহল।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু বাংলানিউজকে বলেন, বন্দর বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসিনি কর্তৃপক্ষ। যেহেতু চারদেশের ব্যবসার বিষয় তাই এখানে কেউ একাই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনা এটি সরকারি ব্যাপার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘন্টা, মে ২৮, ২০২১
এনটি