ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যক্তি উদ্যোগে খামার, বছরে ২০ টন মাছ উৎপাদনের আশা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২১
ব্যক্তি উদ্যোগে খামার, বছরে ২০ টন মাছ উৎপাদনের আশা

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির রামগড়ে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য খামার। প্রায় ৯শ শতক জমিতে ৪টি পুকুর খনন করে বাণিজ্যিক চাষাবাদের আশায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন রামগড় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের।

 

ইতোমধ্যে উপজেলার বলিপাড়া এলাকায় খামারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই খামার থেকে বছরে ২০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন মৎস্য বিভাগ। এতে মাছের স্থানীয় চাহিদার একটি বড় অংশ পূরণ হবে বলে মৎস্য বিভাগের আশাবাদ।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                       সম্প্রতি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তারা খামারটি পরিদর্শন করেন। ১ নম্বর রামগড় ইউনিয়নের পশ্চিম বলিপাড়া ও দক্ষিণ লামকুপাড়া গ্রামের সীমান্তবর্তী লামকু খালের কূল ঘেঁষে প্রায় ৯শ শতক (২২ কানি) জমিতে বিশালাকারের ৪টি পুকুর খনন করা হয়েছে। এ বছরেই মাছের পোনা ছাড়া হবে পুকুরগুলোতে।

প্রকল্পের উদ্যোক্তা সাবেক রামগড় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, বালু জমিতে ভালো ফসল না হওয়ায় দীর্ঘদিন অনাবাদী পড়ে ছিল। নিজের আয় ও এলাকার বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় মাছের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এখানে বাণিজ্যিক পরিকল্পনায় মৎস্য খামার গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন তিনি।

২০১৮ সালের শেষ দিকে খামারের কাজ শুরু করা হয়। এরইমধ্যে বৃহদাকারের ৪টি পুকুর খননের কাজও প্রায় শেষ। এ বছরই পোনা ছাড়ার পরিকল্পনা । বালু জমি হওয়ায় একটু বেশি গভীর করতে হয়েছে পুকুরগুলো। মেশিনের মাধ্যমে বালু অপসারণ করে কর্দমাক্ত মাটির স্তর পর্যন্ত গভীরতা করতে হয়েছে।  

তিনি জানান, মাছ চাষের পাশাপশি এ খামারে মহিষ ও হাঁস পালনের পরিকল্পনাও রয়েছে।

এদিকে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে এ উদ্যোগের প্রশংসা করে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাশ বলেন, এখানে যেকোনো মিঠাপানির মাছ চাষ করা যাবে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ করলে এখানে বছরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন সম্ভব। উদ্যোক্তারা চাইলে মৎস্য বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২১
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।