ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী সব শিক্ষার্থীকে পর্যায়ক্রমে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় এনে তাদের শিক্ষা, পুষ্টি, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তায় অবদান রাখা, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে যাচ্ছে প্রাইমারি স্কুল মিল প্রকল্প।
প্রকল্পের উদ্যোগী মন্ত্রণালয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গরম খাবার বলতে মূলত ডাল আর স্থানীয় সবজি দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানোর কথা বলা হয়েছে এখানে।
মঙ্গলবার (০১ জুন) প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।
এর আগে প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নানা ধরনের প্রশ্ন উঠে।
পরিকল্পনা কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের আপত্তির মুখে প্রস্তাব থেকে ব্যয়ের পরিমাণ এক হাজার ৬৭১ কোটি টাকা কমছে। এখন প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা করা হয়েছে। প্রকল্পের পুরো অর্থ যোগানো হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল।
কল্পের আওতায় খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশনের প্রশিক্ষণ নিতে ১ হাজার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিদেশ সফরের একটি প্রস্তাব ছিল, যা নিয়ে সমালোচনা হয়। ফলে খাতটি বাদ দেওয়া হয়েছে।
আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান (অতিরিক্ত সচিব) ডা. আব্দুল এ. মো. মহিউদ্দিন ওসমানী বাংলানিউজকে বলেন, প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। প্রস্তাবিত প্রকল্প থেকে ব্যয় কমানো হয়েছে। অহেতুক বিদেশ ভ্রমণও প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার হ্রাস এবং ভর্তি ও উপস্থিতির হার বাড়ানো। ৬৪ জেলার ৪শ ৯২টি উপজেলা ও ২১টি শিক্ষা থানায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মার্চ ২০২১ থেকে জুন ২০২৬ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। খাদ্যদ্রব্য হিসেবে চাল-ডাল, ভোজ্যতেল, বিস্কুট ও শাকসবজি ইত্যাদি কেনা হবে ১১ লাখ ১১ হাজার ৪৪ মেট্রিক টন। পরিবহন ও ইন্সপেকশনের জন্যও ব্যয় ধরা হয়েছে।
খাদ্য ব্যবস্থাপনা ব্যয়, সার্ভিস প্রোভাইডার পরিকল্পনা কমিশন জানায়, সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পর্যায়ক্রমে উচ্চ পুষ্টিমানসমৃদ্ধ ফর্টিফাইডবিস্কুট ও প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, পর্যাপ্ত প্রোটিন এবং ক্যালরিসমৃদ্ধ রান্না করা গরম খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দৈহিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে প্রস্তাবিত প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থী ভর্তি ও উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত হবে ও ঝরে পড়ার প্রবণতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে, যা সার্বিকভাবে শিক্ষার হার ও মান বাড়াতে এবং শিক্ষিত ও সুস্থ জাতি পঠনে সুদুরপ্রসারী ভূমিকা রাখবে। এসব বিষয় বিবেচনায় প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২১
এমআইএস/এএটি