ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সময়োপযোগী বাজেট ঘোষণা হয়েছে: জসিম উদ্দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
সময়োপযোগী বাজেট ঘোষণা হয়েছে: জসিম উদ্দিন

ঢাকা: ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে, দেশের জনগণের চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য বাজেটের এই আকার অবাস্তব নয়, সময়োপযোগী। দেশের অর্থনীতির পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাজেটের আকারও প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের উপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এফবিসিসিআই সভাপতি এ কথা বলেন।

জসিম উদ্দিন বলেন, বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুশাসন, যথাযথ মনিটরিং, বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায়। এজন্য বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহীতা এবং তাদের মান ক্রমাগতভাবে উন্নয়নের সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও পরিকল্পনা নিশ্চিত করা জরুরি।

তিনি বলেন, বাজেটে করোনা ভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় অর্থনৈতিক পুর্নগঠন, ভ্যাক্সিনেশন ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম জোরদারকরণ, কৃষি, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং কর্মসংস্থানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি ২০৩০), প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১), এলডিসি গ্রাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রম ও অষ্টম পঞ্চমবার্ষিকী পরিকল্পনার অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় বাজেট প্রণীত হয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে কর্মহীনতা ও আয়-হ্রাস কমাতে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচি, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচি প্রভৃতির আওতা বৃদ্ধি করা হয়েছে যা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ অন্য অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বাজেটে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং কর্মসংস্থান প্রক্রিয়াকে গতিশীল করবে। এসব অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) আরও ভূমিকা রাখবে।  

এফসিসিসিআই সভাপতি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারাকে অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়। রাজস্ব নীতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি যাতে বিনিয়োগকারীরা আস্থার সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারে। ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ব্যবসায়িক খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা অগ্রিম আয়কর (এআইটি) বিলুপ্ত করার জন্য প্রস্তাব করেছিলাম কিন্তু এ বিষয়ে বাজেটে কোনো প্রতিফলন দেখা যায়নি। অগ্রীম আয়কর যথাযথ সমন্বয়-রিফান্ড না হওয়ায় পরিচালনা ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসনপূর্বক অগ্রিম আয়কর যথাসময়ে সমন্বয় করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। ভ্যাট ফাঁকির ক্ষেত্রে ভ্যাটের দ্বিগুণ জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে আগামী বাজেটে এটি কমিয়ে ভ্যাট ফাঁকির সমপরিমাণ জরিমানার বিধান করা হয়েছে। সেসঙ্গে সময়মত ভ্যাট না দিলে মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদের পরিবর্তে ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে যা ইতিবাচক।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২১
এসই/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।