ঢাকা: স্বাস্থ্যখাতে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ পুরো ব্যবহার করতে আগামী অর্থবছরের বাজেটের শুরুতেই প্রকল্প পরিচালকদের জন্য একটি ক্রাস প্রোগ্রাম নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।
শুক্রবার (১২ জুন) বাজেটত্তোর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ।
স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়িয়েছেন, কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্যখাত জরুরি, সেক্ষেত্রে টিকাও জরুরি। আর সম্প্রতি এখাতে দুর্নীতি-অনিয়ম শর্তেও স্বাস্থ্যখাতের কাঠামোগত পরিবর্তন ছাড়া স্বাস্থ্যখাত সবল হবে বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র অর্থ সচিব বলেন, এ বছর স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ সেটা গত অর্থবছরের থেকে ১৩.৩ শতাংশ বেশি দেওয়া হয়েছে। আমাদের সার্বিক বাজেটে ৬.৩ শতাংশ। অর্থাৎ বাজেটে যে বরাদ্দ বাড়ানোর হার সে তুলনায় স্বাস্থ্যখাতে বেশি। এখানে বরাদ্দ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রয়োজন হলে অন্য খাত থেকে অর্থ এখানে সরবরাহ করতে পারবো।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতের একটা সমস্যার কথা বলা হয়েছে যে এ খাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার একটা অংশ ব্যবহার করা হয় না। এখানে দু’টি সমস্যা আমরা চিহ্নিত করতে পারি। প্রথমত স্বাস্থ্যখাতে যারা এ ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত এখানে সমস্যা। আর স্বাস্থ্যখাতের যে চাহিদা আমাদের যে যন্ত্রপাতি যেখানে একটা মিস ম্যানেজমেন্ট। এ দু’টি কাজ আমরা আগামী অর্থবছরে চিহ্নিত করবো। এ নিয়ে কথা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। স্বাস্থ্যখাতে যে কেনাকাটা হয় সেটা অনেকটা সাপ্লাই সাইডজুড়ে।
সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা যেটা করবো আগামী অর্থবছরে একটা চাহিদাপত্র তৈরি করবো যে দেশের সব হাসপাতালগুলোতে কি পরিমাণ চাহিদা রয়েছে সেটা যদি করতে পারি তাহলে চাহিদা সম্পর্কে আমরা ধারণা পাবো। আরেকটা হলো স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যে প্রকল্প আছে সেই প্রকল্পের পরিচালকদের তাদের ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও ক্রয় ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে। আগামী অর্থবছর একটা ক্রাস প্রোগ্রাম নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা ব্যয় ব্যবস্থাপনা ও ক্রয় যেন ভালোভাবে করতে পারে। এ দু’টি বিষয় আমরা আগামী অর্থবছরের প্রথমেই উদ্যোগ নেব। যাতে তারা বরাদ্দের পুরোটা ব্যবহার করতে পারে এবং স্বাস্থ্যখাত নিয়ে যে কথা হয় আমরা যেন সে জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২১
জিসিজি/আরবি