ঢাকা: টাকার কোনো সমস্যা নেই, সবাইকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শুক্রবার (৪ জুন) বাজেট পরবর্তী ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিমাসে ২৫ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। বাজেটে দরকার হয় এটা পরিবর্তন করা হবে। আমাদের একটা প্রজেকশন মাত্র। আমাদের উদ্দেশ্য সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া। অর্থের ব্যবস্থা রেখেছি। একটা পার্টিকুলার সোর্স থেকে ভ্যাকিসন নিলে হবে না।
‘ভ্যাকসিনের জন্য একটা সোর্সের উপর নির্ভর করবো না। এজন্য বিভিন্ন সোর্স থেকে আমরা ভ্যাকসিন নিচ্ছি। প্রথমে কেউ ভ্যাকসিন নিচ্ছিল না। মাইকিং করে ভ্যাকসিন দিয়েছি, এখন সবাই নিচ্ছে। আমাদের ভ্যাকসিন দিতে হবে। সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট সবার জন্য। আমাদের ঋণের পরিমাণ বেশি হয়নি। ব্যয় করলে আয় আসবে, ব্যয় করলে বিনিয়োগ হবে। রেভিনিউ জেনারেশন সংখ্যা বাড়ছে। আমাদের রপ্তানিবাণিজ্য বেড়েছে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে যাচ্ছি। এজন্য আইটিখাত আরো সমৃদ্ধ করতে হবে, দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে।
প্রবৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা বিগত সময়ে যা বলেছি তাই করেছি। আমরা জিডিপি নিয়ে যা বলেছি তাই হয়েছে। যখন যা বলছি তাই বাস্তবায়ন অর্জন করে দেখাতে পারছি।
দারিদ্র জনগোষ্ঠী প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশে এখনো ২৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। বিআইডিএস ও বিবিএস এটা নিয়ে কাজ করবে। আমরাও কাজ করবো। আমাদের কাজই হচ্ছে দরিদ্র, প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন দারিদ্র্য ও পিছিয়ে পড়া মানুষকে খুঁজে বের করতে হবে। আমরাও সেই মোতাবেক কাজ করছি। যাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা নেই তাদের বাসস্থান ও ঘরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। যাদের জমি নেই তাদের ঘর করে দিচ্ছি, এটা পৃথিবীর কোথাও নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সরকার কোভিডে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ছয়টি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। একটা ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ যা ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের জন্য। এর মধ্যে ৩২ হাজার ৫শ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। এসএমই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৪ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা প্রায় ৯৬ হাজার।
‘কৃষিখাতে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ছিল, ৩ হাজার ৬৯৬ শতাংশ বিতরণ করা হয়েছে। ফল, ফুল, সবজি, পশুপালন ও মৎস্যখাতে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৯০ জন পরিবার উপকৃত হয়েছে। এটার মেয়াদ আছে দ্বিতীয় দফায় ব্যাংক ঋণ দিতে পারবে। ব্যাংকিং খাত ৮০ শতাংশ সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে। বাজেট ঘাটতি অর্থায়ন ৭৬ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকিং খাত থেকে করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২১
এমআইএস/এএ