ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

টেকসই উন্নয়নে সিএমএসএমই খাতকে সম্প্রসারিত করতে হবে: শিল্পমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২১
টেকসই উন্নয়নে সিএমএসএমই খাতকে সম্প্রসারিত করতে হবে: শিল্পমন্ত্রী ...

ঢাকা: অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্প খাতকে সম্প্রসারিত করার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও বিসিক শিল্প নগরী এলাকাগুলোতে উৎপাদন অব্যহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশে সিএমএসএমই শিল্পখাতকে জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

রোববার (০৬ জুন) ভার্চ্যুয়ালি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্পের টেকনিক্যাল এসিসটেন্স কম্পোনেন্ট ও ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত 'ইমপ্যাক্ট অফ কোভিড-১৯ অন সিএমএসএমইএস এন্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং দেয়ার রিকভারি: ইভলিডেন্স ফরম বিএসসিআইসি ইন্ডাস্ট্রিরিয়াল স্ট্যাটিস' শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, সিএমএসএমই খাতে কর্মসংস্থান, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন ও রপ্তানি আয় বাড়াতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। রূপকল্প-২০২১, ২০২৬ সালের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে এলডিসি গ্রাজুয়েশন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সাল নাগাদ শিল্পোন্নত বাংলাদেশ গড়ার মতো সরকারের নির্ধারিত উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনে এখাত ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রেনজি থ্রিংক কোভিড-১৯ এর আর্থিক ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের প্রসংশা করেন। করোনা মহামারীতে যারা কাজ হারিয়েছে, তাদের দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সিএমএসএমইখাতের আরও নজর বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মানবিক সহায়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে সমস্যা নিরসন, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ও পানি সুবিধা নিশ্চিতসহ করোনা মহামারীর গবেষণা খাতকে শক্তিশালী করতে জোর দিচ্ছে। ভবিষ্যতেও ইইউ বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইআরএফ এর প্রেসিডেন্ট শারমিন রিনভী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব ডেলিগেশন রেনজি থ্রিংক, বিসিকের চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান এনডিসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা) মো. গোলাম ইয়াহিয়া।

এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রিজম প্রকল্পের টেকনিক্যল এসিসটেন্স কম্পোনেন্টের টিম লিডর আলী সাবেত। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন প্রিজম টেকনিক্যাল এসিসটেন্ট প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট ও বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক ড. মঞ্জুর হোসেন। এতে অন্যদের মধ্যে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর আতিউর রহমান, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, বিল্ডের চেয়ারপার্সন আবুল কাশেম খান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রিজওয়ান রহমান। এতে সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম।

বাংলা‌দেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২১
জিসিজি/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।