ঢাকা: রপ্তানিখাতে সমহারে উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ করাসহ প্লাস্টিকখাতে করপোরেট করহার কমিয়ে ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।
সোমবার (৭ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি সামিম আহমেদ।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কোভিড মহামারি মোকাবিলায় প্লাস্টিকখাত নিরলসভাবে কাজ করেছে। ফেসমাস্ক, ফেস শিল্ড, গগলস, হ্যান্ড গ্লাভস, স্যানিটাইজার, পিপিই, জীবাণুনাশক ওষুধের বোতল, বিভিন্ন ওষুধের প্যাকেজিংয়ের জন্য প্লাস্টিক ব্যাপকভাবে প্রয়োজন হয়। আমাদের শিল্পগুলো দিনরাত উৎপাদন করে সরকারের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখছে।
সামিম আহমেদ বলেন, রপ্তানিখাতে উৎসে কর এবং করপোরেট করহার খাতভেদে বিভিন্ন হারে ধার্য করা আছে। রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে হলে, সব রপ্তানিখাতে সমহারে উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ এবং করপোরেট কর হার সমতায়ন করে ৩২ দশমিক ৫০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ ধার্য করার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে দেশীয় উৎপাদিত প্লাস্টিক খেলনা সামগ্রীর ওপর আরোপ করা ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে হবে। এতে নতুন বিনিয়োগ ও কর্মংস্থান বাড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সারাদেশে প্লাস্টিকের প্রায় ৫ হাজার ৩০টির বেশি ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব দেয়। রপ্তানি হয় প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের মতো। প্লাস্টিক সেক্টরে ইতোমধ্যে প্রায় ১২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো বিপিজিএমইএ এর অন্য দাবিগুলো হলো: ক্রোকারিজ (প্লাস্টিকের তৈজসপত্র) আইটেমের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করা। ওষুধ, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি খাত, তৈরি পোশাকখাতসহ অন্য শিল্পখাতের সঙ্গে প্লাস্টিক খাতেও কর অবকাশ সুবিধা সম্প্রসারণ করা।
সংবাদ সম্মেলনে বিপিজিএমইএর সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, কেএম ইকবাল হোসেন, কাজী আনোয়ারুল হক, পরিচালক মোসাদ্দেকুর রহমান নান্নু, মো. শাহজাহান, এটিএম সাঈদুর রহমান বুলবুল, মো. এনামুল হক, আমান উল্লাহ, সাবেক সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিন ও ফেরদৌস ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
জিসিজি/এএ