ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২১
চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে

ঢাকা: শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ায় চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

বুধবার (০৯ জুন) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) এবং বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিসিসিসিআই) যৌথভাবে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-চায়না ইকোনমিক অ্যান্ড ট্রেড রিলেশনস ইন দি আফটারমান্থ অব দ্য কোভিড-১৯ গ্লোবাল পেন্ডামিক’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী।

চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর সম্পর্ক বহুদিনের। ৪৫ বছর ধরে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের লেনদেনে সুষম গতি বজায় রয়েছে। অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে সহায়তা ক্রমাগত গভীর হচ্ছে। গত বছরের জুলাইতে বাংলাদেশকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে চীন। ফলে চীনের বাজারে বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য এটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, গত বছর বাংলাদেশ থেকে চীনের পণ্য আমদানি ২৮ শতাংশ বেড়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে চীনের আমদানি আরও বাড়বে। দুই দেশের বাণিজ্যে ব্যালান্স তৈরি হবে।

তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়াতে বিদ্যমান শুল্কমুক্ত সুবিধা ছাড়াও এফটিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে আরও বেশি কাজ করতে হবে।  

বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্বের সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লি জিমিং বলেন, এই  মুহূর্তে চীনের অভ্যন্তরে করোনা ভ্যাকসিনের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সরবরাহও খুব সীমিত। এর মধ্যেও বন্ধুত্বের কারণে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। এরই মধ্যে সিনোফার্মের ৫ লাখ টিকা উপহার দিয়েছে। সিনোভ্যাকের উপহারের আরও ৬ লাখ টিকা আসার অপেক্ষায় রয়েছে।  

বাংলাদেশ-চীনের যৌথ উৎপাদনের আলোচনার অগ্রগতিও আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশে চীনের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে জানিয়ে লি জিমিং বলেন, বিআরআই-এর অধীনে চীন বিভিন্ন উপায়ে যেমন অগ্রাধিকারযোগ্য ঋণ, বিনিয়োগ, প্রকল্প চুক্তি ও বিনামূল্যে সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। শুধু এসব খাতই নয়, ফাইভজি, হাই স্পিড রেল, মহাকাশ এবং ব্লু -ইকোনমি, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য নির্মূল, মেডিক্যাল ও স্বাস্থ্যসেবা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে চীনের কাজ করার আগ্রহ রয়েছে।

অনুষ্ঠানে ইআরএফের সভাপতি শারমিন রিনভী এবং বিসিসিআই'র যুগ্ম মহাসচিব আল মামুন মৃধা স্বাগত বক্তব্য রাখবেন। বিসিসিসিআইয়ের সভাপতি গাজী গোলাম মুর্তজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এস এম রশিদুল ইসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২১
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।