ঢাকা: তৃতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইস (দর পতনের সর্বনিম্ন সীমা) প্রত্যাহার করে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে সব কোম্পানির দর উত্থান-পতনের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার (সীমা) আরোপ করেছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় এ কথা বলা হয়েছে।
বিএসইসি এবারের নির্দেশনায় সিকিউরিটিজের ক্ষেত্রে দর উত্থান-পতনের সার্কিট ব্রেকার আরোপ করেছে। এতে করে ২০০ টাকা পর্যন্ত কোনো কোম্পানির শেয়ারে দাম সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে। ২০০-৫০০ টাকার দামের শেয়ার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারবে কিংবা কমতে পারবে। একইভাবে ৫০০-১০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকা দামের শেয়ার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা দামের শেয়ার দিনে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ হাজার টাকার বেশি দামি শেয়ার ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বাড়তে কিংবা কমতে পারবে।
এর আগে প্রথম দফায় চলতি বছরের ৭ এপ্রিল ৬৬টি কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন। এরপরে গত ৩ জুন ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে নির্দেশনাটি তুলে নেয় বিএসইসি।
তবে ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলেও কোম্পানিগুলোর সার্কিট ব্রেকারে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। এ কোম্পানিগুলোর দর পতন হতে পারবে দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পারবে বলে জানানো হয়। এটিও এবারের নির্দেশনায় তুলে নিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, গতবছর দেশে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ারবাজারে ধস নামে। শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে গত বছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
এসএমএকে/ওএইচ/