ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

খরাতেও কমেনি আম্রপালির উৎপাদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
খরাতেও কমেনি আম্রপালির উৎপাদন গাছজুড়ে আম্রপালি আম। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়িজুড়ে এখন বাহারি ফলে ভরপুর। বাজারগুলোতে ফলের মৌ মৌ ঘ্রাণ।

আর ফলের মধ্যে এখন যেটি রাজত্ব করছে তা হচ্ছে আম্রপালি আম। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ট্রাকে ট্রাকে যাচ্ছে আম্রপালি। আম্রপালি আমের খ্যাতি দেশজুড়ে। আকার, আকৃতি, রং মিষ্টতা, স্বাদে অনন্য আমটির চাহিদা দিনে দিনে বাড়ছে।  
তবে আম্রপালির উৎপাদন শঙ্কা কেটেছে। এ বছর অনাবৃষ্টি ও অতি তাপদাহে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা নিয়ে আশঙ্কা ছিল। তবে তা কেটেছে। এবার আমের উৎপাদন গত বছরকে ছাড়িয়ে বলে বলছেন কৃষি বিভাগ।

খাগড়াছড়ির আম্রপালির খ্যাতি সারা দেশে রয়েছে। বিষ ও ফরমালিনমুক্ত এই আম চাষে ঝুঁকছে অনেকে। দিনে দিনে বাড়ছে উৎপাদন। দিনে দিনে জনপ্রিয়তা বাড়ছে সুস্বাদু আমটির। আম চাষে ঝুঁকছে অনেকে।

কৃষি বিভাগের কাছে বারি আম-৩ নামে পরিচিত। যে আম সবার কাছে আম্রপালি নামেই চেনে। এই আমের খ্যাতি পাহাড় ছাড়িয়ে দেশজুড়ে সমাদৃত হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাগড়াছড়িসহ পাহাড়ি তিন জেলায় বিস্তৃত এলাকায় এই আমের বাগান গড়ে উঠেছে। উৎপাদনও হচ্ছে ব্যাপকহারে। তবে, আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর খবরে দেশব্যাপী আতঙ্ক থাকলেও খাগড়াছড়ির আমের রয়েছে সুখ্যাতি। এই বিষয়ে সতর্ক খাগড়াছড়ির আম বাগানিরা। অন্যদিকে আম বাগানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় শিল্প পাহাড়ের বহু বেকার নারী-পুরুষের মনে আনন্দ।

খাগড়াছড়ির ফলদ ও বাগান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক সমির হোসেন সুজন জানান, অন্যান্য ফলের খরার প্রভাব পড়লেও আম্রপালিতে খুব একটা পড়েনি। তার কারণ আগের তুলনায় বাগানের সংখ্যা বেড়েছে। তাই উৎপাদনও ভালো। এবার খাগড়াছড়ির ৩ হাজার ৩শ ৬৯ হেক্টর জায়গায় আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ হাজার ৩শ ৬৯ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগ বলছে, গত বছর হেক্টর প্রতি ৮ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। এবার প্রায় ৮০ কোটি টাকা মূল্যের আম বেচাকেনা হতে পারে। যার প্রায় ৯০ শতাংশই বাইরের জেলাগুলোতে চলে যায়।

কৃষি বিভাগের সূত্র অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে জেলার পাহাড়ি উঁচু জমিতে উন্নত জাতের আম্রপালি আমের পাশাপাশি রাংগুয়া, বারি-৪, হিমসাগর, রত্ন, মল্লিকা, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হচ্ছে। খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মর্তুজ আলী বলেন, আম চাষে খরা খুুব একটা প্রভাব পড়েনি। জেলায় শতকরা ৬০ শতাংশ আম্রপালি আম চাষ হয়। বাকি ৩০ শতাংশ অন্যান্য আম। সুস্বাদু এই আমের চাহিদা থাকায় বাগানের সংখ্যাও বাড়ছে। এছাড়াও নতুন নতুন জাতের আমের চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা। তবে, বাজার ব্যবস্থাপনার সুযোগ থাকলে এই খাত থেকে আরো বেশি লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আমচাষির সংখ্যাও বাড়তো বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

 বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।