ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা সম্ভব

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশাল বাজার এবং বিদেশে এ পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে এ পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব।

রোববার (২০ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির উদ্যোগে ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ সেক্টরকে রপ্তানিমুখী করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে ‘বর্ষ পণ্য-২০২০’ বা ইয়ার অব দ্য প্রোডাক্ট-২০২০ ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেন, দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বাড়ানো জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, প্লাস্টিক, কৃষি এবং লেদার সেক্টরকে রপ্তানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সেক্টরের উদ্যোক্তাদের পরামর্শ নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে চায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। এজন্য এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।

এ শিল্প রপ্তানিমুখী হলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী দক্ষতা সম্পন্নকর্মী বাহিনী তৈরির মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বহুমুখী করণের ফলে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে। এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণারলয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।  

কর্মশালায় বিষয়ের ওপর খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর টেকনিকেল অ্যাডভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এর কো-অডিনেটর মো. আব্দুল রহিম এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবদুর রাজ্জাক।  

এ কর্মশালায় শিল্প মালিক ও প্রতিনিধিদের পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।