ঢাকা: পণ্যে বৈচিত্র্য এনে রপ্তাানি-নির্ভর প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অর্থনীতির সম্ভাবনা উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং এর আধুনিকায়নে বাংলাদেশকে নতুন দফার সংস্কার শুরু করতে হবে। বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের এক নতুন প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
আইএফসি এবং বিশ্বব্যাংক প্রণীত বাংলাদেশ কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়গনস্টিক (সিপিএসডি) রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দশকগুলোতে বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ উন্নয়ন সাফল্যের উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরবর্তী দশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার আকাঙ্খা পূরণে বাংলাদেশের এখন গতি পরিবর্তনের সময়।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারির সমস্ত চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় রেখে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি।
আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক ভাইস প্রেসিডেন্ট আলফনসো গার্সিয়া মোরা বলেন, মজবুত আর্থিক খাতের সহায়তায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ৭০ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের এবং এখন অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে এ খাতের জোরালো ভূমিকা রাখার দরকার, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি বাড়ানোর পাশাপাশি গুনগত মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সংস্কার এজেন্ডার প্রধান অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সহায়ক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সৃষ্টি, আর্থিক খাতের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতাগুলো দূরীকরণ।
বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালে নিযুক্ত আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার ওয়েন্ডি ওয়ার্নার বলেন, বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যের তৈরি পোশাকের বাজারে মনোযোগ দিতে পারে ও নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন করতে পারে এবং পাদুকা, চামড়া, ইলেকট্রিক সামগ্রী এবং কৃষিবাণিজ্য রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
এই প্রতিবেদনের ফলাফল বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নতুন কান্ট্রি পার্টনারশীপ ফ্রেমওয়ার্কের কৌশলগত উপাদান প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে, যা বাজার সৃষ্টি এবং বেসরকারি খাতের সম্ভাবনার দুয়ার খুলতে যৌথ কর্মসূচি গ্রহণের পথ দেখাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
এসই/কেএআর