ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কঠোর ‘লকডাউনে’ সচল রয়েছে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
কঠোর ‘লকডাউনে’ সচল রয়েছে বেনাপোল বন্দরের কার্যক্রম ...

বেনাপোল (যশোর): সম্প্রতি দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার দিগুন হওয়ায় আরো এক সপ্তাহের জন্য কঠোর ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এসময় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যক কার্যক্রম ও জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান সচল রয়েছে।

বুধবার ( ২৩ জুন) সকাল থেকে আগামী এক সপ্তাহের জন্য এ ‘লকডাউন’ কার্য্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা।

এদিকে বেনাপোল এলাকার প্রতিটি মানুষের করোনা ভাইরাসের টিকার আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় সচেতন মহল।  

এসময় তারা জানান, দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখা হয়েছে। এছাড়া ভারতে আটকা পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রীরা দেশে ফিরে আসার পর বেনাপোলের আবাসিক হোটেলগুলোতে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এসব পাসপোর্টধারী যাত্রীদের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ম্যানেজ করে হোটেলে থেকে বের হয়ে অবাধে বেনাপোল বাজারসহ আশপাশের এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা। এর জন্যই বেনাপোলসহ আশপাশের এলাকায় করোনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

তারা আরো জানান, বর্তমানে প্রশাসনের কর্ড়া নিরাপত্তার কারণে বেনাপোলে কোয়ারেন্টিনে থাকা পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এখন আর বের হয়ে ঘোরাফেরা করতে পারছে না। তবে প্রশাসন আগে থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যদি এমন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাখতো তাহলে বেনাপোল এলাকায় করোনা সংক্রমণের হার দিগুন হতো না বলে তারা জানান।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার জানান, দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখতে চলমান লকডাউনের মধ্যে বন্দরের কার্যক্রম অন্য সময়ের মত সচল রয়েছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাণিজ্যক কার্যক্রম পরিচালনা করেন তার জন্য বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ পণ্য খালাসের সঙ্গে জড়িত সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী জানান, এ পর্যন্ত বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলায় প্রায় ৭৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। যা সংক্রমণের হার ৭৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে ১৯৮ জন করোনা রোগীকে বাড়িতে ও ৬ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীর আলিফ রেজা জানান, বন্দর ও উপজেলাধীন সীমান্ত এলাকায় শত ভাগ লকডাউন নিশ্চিতে কাজ করছে প্রশাসন। করোনা সংক্রমণ রোধে ব্যস্ততম বাইপাস সড়কসহ প্রতিটি এলাকার মেন সড়ক বন্ধ ও করোনা আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। এছাড়া অনিয়ম কারীদের জরিমানা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান ।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।