ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দু-একটি কোম্পানির জন্য ই-কমার্স সেক্টর যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৩ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
দু-একটি কোম্পানির জন্য ই-কমার্স সেক্টর যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়

ঢাকা: দু-একটি কোম্পানির জন্য যেন গোটা ই-কমার্স সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার।  

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকালে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা’ বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

শমী কায়সার বলেন, আমরা চাই সবাই ব্যবসা করুক। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি এই জায়গাগুলো তারা মনিটর করে দেখবে। যেই জায়গায় সমস্যা আছে সরকারের নীতি অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আমাদের দেশে ডিজিটাল কমার্স আইন নেই। আমরা খুব শিগগিরই এসওপি প্রণয়নের পর ডিজিটাল কমার্স আইন করার আনুরোধ করেছি।

ই-ক্যাবের সভাপতি আরও বলেন, আজকের বৈঠকটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। মূলত বিষয়টি হলো আমরা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন কোন ল’ইনফোর্স করতে পারি না। আমরা অ্যাসোসিয়েশন পলিসি নিশ্চিত করতে চাই। কম্পেটেটিভ মার্কেট যাতে থাকে। সেই জায়গা থেকে অনেক অভিযোগ হয়েছে, আমরাও সেটা মানি। ই-কমার্স বুমিং সেক্টর। এখানে ফিউচার আছে। কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা এখানে যাতে সমস্যা না হয়, সেটি নিশ্চিত করতে ডাব্লিউটিও সেলের ডিজি বলেছেন আমরা ইমেডিয়েটলি একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) করছি। সেখানে ভোক্তার অধিকারটাকে এনশিওর করা হবে। একই সঙ্গে সেম টাইম কম্পিটিশনটা যাতে একটা লেভেল প্লেয়িংয়ে থাকে। সুতরাং এসওপি হয়ে গেলে অনেক কনফিউশন দূর হবে।  

শমী কায়সার বলেন, যেহেতু এটি নতুন সেক্টর এখানে অনেক আন্ডারস্ট্যান্ডিংও আছে। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকও ছিল। যাতে ভোক্তা প্রতারণার শিকার না হয় সেই জায়গাটিতে প্রাইয়োরিটি দিয়ে আমরা মিটিং করেছি। সেজন্য আমরা কিছু পলিসি করছি, যা বাংলাদেশ ব্যাংক রিভিউ করবে।

ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, আমরা ই-ক্যাব থেকে দুইটি দাবি জানিয়েছি; একটা হলো গত ১ বছর আগে একটা এসওপি পরিচালনা নীতিমালা, ই-কমার্স কোম্পানিগুলো কীভাবে পরিচালিত হবে এটা নিয়ে নীতিমালা কীভাবে প্রণয়ন করা হবে সেটার ড্রাফট তৈরি করে দিয়েছি। যতদ্রুত সম্ভব করলে সবাই উপকৃত হবে। শুধু একটা দুইটা কোম্পানি নয়, পুরো ই-কমার্স সেক্টরের জন্য এটি জরুরি। আরেকটি হলো বাংলাদেশে কোনো এসক্রো সার্ভিস চালু হয়নি। বাইরের দেশগুলো গেলে দেখা যাবে অ্যামাজন, পে-পাল বা বিভিন্ন জায়গায় পেমেন্ট করলে কোনো একটা কোম্পানি থাকে যারা সেফটি দেয়। আমাদের দেশের কোনো ব্যাংক বা কেউ এই সেফটিটা দিচ্ছে না।

তিনি বলেন, যারা ট্রানজেকশন করছে তাদের কোনো সেফটি নেই। সেজন্য দাবি জানিয়েছি এসক্রো সার্ভিসটি চালুর জন্য। এই দুইটি সমস্যা সমাধান করা গেলে লাখ লাখ উদ্যোক্তা যারা ব্যবসা করতে এসেছে তারা নিরাপত্তা পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটি যুগপোযোগী সিদ্ধান্ত। পেমেন্ট দেবে এটার সেফটি থাকবে।  

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ ও ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিনিধি, রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি, বিটিআরসির প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, ই-ক্যাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০২১
জিসিজি/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।