চাঁপাইনবাবগঞ্জ: দেশব্যাপী কঠোর ‘লকডাউনে’র প্রভাব পড়েছে আমের রাজধানীতে। দেশের সর্ববৃহৎ আমবাজার কানসাটের আম কেনা-বেচা প্রায় বন্ধের পথে।
একদিকে করোনা সংক্রমণের কারণে বাইরে থেকে ব্যাপারি কম, তার ওপর আমের দাম নেই আশানুরূপ। এরপর সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের কারণে আম সংশ্লিষ্টদের মরার ওপর খাঁড়ার ঘা এর মত অবস্থা হয়েছে।
কানসাট আমবাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার সারাদিন ফজলি আম রকম ভেদে ৮শ থেকে এক হাজার টাকা, আম্রপালি রকম ভেদে ১৫শ থেকে ২ হাজার, ল্যাংড়া ১ হাজার থেকে ১৫শ টাকা এবং ক্ষীরসাপাত রকমভেদে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা মণদরে বিক্রি হচ্ছে।
কানসাটের আমচাষি শহিদুল হক হায়দারী বলেন, এ বছর ফলন ভাল হওয়ায় আশায় বুক বেধেছিলাম। কিন্তু করোনা সব শেষ করে দিল।
অপর আমচাষি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস জানান, বাম্পার আমের ফলনে বাম্পার লোকসান। গত ৫ বছরে এবার তার সর্বোচ্চ লোকসান।
শ্যামপুরের আমচাষি ডিউক চৌধুরী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষিদের বাঁচাতে হলে সরকারের প্রণোদনার ব্যবস্থা করা জরুরি।
এ ব্যাপারে কানসাট আম আড়ৎদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক টিপু জানান, সোমবারের ঘোষিত লকডাউনকে কেন্দ্র করে শনিবার আম বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। যে কয়েকজন আম ব্যাপারি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছিলেন তারা আম কেনা বন্ধ করে এলাকা ছাড়ছেন। কানসাট বাজারে ক্রেতা সংকটের কারণে আম কেনাবেচা এক রকম বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
অন্যদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুঞ্জুরুল হাফিজ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশেষ লকডাউন কঠোরভাবে পালন হলেও আম ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবকিছুই ছিল লকডাউনের আওতামুক্ত। বাজারগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তাই দেশব্যাপী ঘোষিত কঠোর লকডাউনে আম চাষি ও ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
আরএ