ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লকডাউনের আগে ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২১
লকডাউনের আগে ব্যাংকগুলোতে উপচে পড়া ভিড়

ঢাকা: সীমিত পরিসরে সারাদেশে লকডাউন শুরুর আগের দিন ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। আবার অনেক গ্রাহক ১ জুলাই শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের খবর পেয়েও ব্যাংকে আসেননি।


 
রোববার (২৭ জুন) রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান এলাকার ব্যাংকগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
 
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৮ জুন থেকে সারাদেশে শুরু হচ্ছে সীমিত পরিসরে লকডাউন। চলবে বুধবার (৩০ জুন) পর্যন্ত। ১ জুলাই থেকে শুরু হবে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউন আরও বাড়তে পারে। এসব কিছু মিলিয়ে গ্রাহকরা টাকা উত্তোলন ও জমা দিতে ভিড় করেছেন ব্যাংকগুলোতে।
 
সকালে মতিঝিলে সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নেই। সব গ্রাহক মিলে ক্যাশ কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে অপেক্ষা করছেন। সাধারণ লেনদেনকারীদের কাউন্টারগুলোতে মোটামুটি সামাজিক দূরত্ব মেনে অপেক্ষা করা হলেও সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয় কাউন্টারের সামনে জড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রাহক।
 
এদিকে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যাংকারদের।  

ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, লেনদেনের সময় কমানো হলেও গ্রাহক কমেনি। তাই যতক্ষণ গ্রাহক থাকে ততক্ষণ লেনদেন করতে হচ্ছে।  

ব্যাংকাররা বলছেন, লকডাউন দিলে সবার জন্য দেওয়া উচিত। অনেক অফিস খোলা থাকবে আবার অনেক অফিস বন্ধ এভাবে লকডাউন হয় না। অনেকেই ব্যাংকে আসেন। তাদের কাছ থেকে আমাদের কর্মকর্তারা আক্রান্ত হচ্ছেন।
  
সাধারণ লেনদেনের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র ক্রয় ও সুদের টাকা তোলার লম্বা লাইন দেখা গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসসহ সরকারি ব্যাংকের শাখাগুলোতে।
 
রূপালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার মহাব্যবস্থাপক খান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, অনেক গ্রাহকের চাপ আছে। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ার কারণে সকাল থেকেই গ্রাহকের উপস্থিতি লক্ষ্য করার মতো। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অংশ হিসেবে আমরা সব সময় গ্রাহককে শাখায় প্রবেশের আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রেখেছি। লেনদেনের জন্য সামাজিক দূরত্ব মেনে অপেক্ষা করতে বলেছি।

ব্যাংক এশিয়া বসুন্ধরা শাখার অপারেশন ম্যানেজার শাহিদুল হক বলেন, সামাজিক দূরত্ব মেনে লেনদেন করা হচ্ছে। ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশের আগে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করছেন গ্রাহকরা। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস ও লকডাউনের খবর পেয়ে অনেক গ্রাহকই ব্যাংকে এসেছেন। আবার অনেকেই খবর নিয়েছেন কঠোর লকডাউন হলে দু-একদিন পরে আসবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২১
এসই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।