ঢাকা: করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনের আগে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া রয়েছে। একদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে।
শনিবার (২৬ জুন) রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর সেকশন, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার নিত্যপণ্যের বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কঠোর লকডাউন ঘোষণা হওয়ায় বাজারে কিছুটা নিত্যপণ্যের দামের প্রভাব পড়লেও বিভিন্ন জেলা থেকে লকডাউনের জন্য সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ফলে আগের থেকেই দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের পরিমাণের অতিরিক্ত পণ্য মজুদের কারণেও দাম বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে মিরপুর ১ নম্বর সেকশনের হাসিব এন্টারপ্রাইজের মালিক হাসিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় আমাদের বিক্রি বেড়েছে। তবে পণ্যের দাম তেমন একটা বাড়েনি। আগের দামেই সবকিছু বিক্রি হচ্ছে। তবে লকডাউনের ঘোষণায় ক্রেতারা চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, মাছ, তরকারিসহ সবকিছুই চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মজুদ করছেন। এতে কিছুটা দাম বাড়তে পারে বলেও তিনি মনে করেন।
অপরদিকে ক্রেতারা বলছেন, কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় কিছুটা পণ্য মজুদ করছেন তারা। লকডাউনে সময় পণ্যের দাম আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই এই মজুদ করা হচ্ছে।
শেওড়াপাড়ায় বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কাঁচামালের সবকিছুর দাম বেড়েছে। কঠোর লকডাউনে দাম আরো বাড়বে এই আশঙ্কায় পণ্য কিছুটা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি কিনেছি।
বাজারে সরকারের মনিটরিং নেই। এ কারণেই বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছামত পণ্যে দাম নির্ধারণ করছেন। বিভিন্ন অজুহাতে তারা সুযোগ নিচ্ছেন বলে জানান কাজীপাড়া বাজারে বাজার করতে আসা শাহীন আলম।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সব সময় দেশে কোনো উৎসব বা ক্রাইসিস দেখা দিলে ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি খুশি হন। তারা সুযোগটাকে কাজে লাগান। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সরকারের সোচ্চার থাকার প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হতে হবে। লকডাউনে পণ্যবাহী যান চলাচল করবে। তাই মজুদ না করে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই কিনলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়াতে পারতো না।
এদিকে লকডাউন অজুহাতে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতিটি পণ্যের দামই কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২১
এসএমএকে/আরআইএস