ঢাকা: দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের বিকাশ এবং এ খাতের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখাকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ (https://www.daraz.com.bd/)। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন এসএমই খাতে নানা ধরনের সহায়তামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিগত বছরগুলোতে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দারাজ সেলার মৈত্রী প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের বিক্রেতারা এ প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রথম ৩০ দিন ০ শতাংশ কমিশনের সুবিধা নিতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঠিকভাবে দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হয়ে যাবে, সঙ্গে বিনামূল্যে দেওয়া হবে প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল। এছাড়া তারা সাপ্তাহিক প্রশিক্ষণ পাবেন। যেখানে ই-কমার্স এবং দারাজে প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হবে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিক্রেতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে দারাজের সেলার ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম। এটি বিক্রেতাদের আবেদন প্রক্রিয়াকে সহজ করে তোলে এবং সময়মতো ঋণ গ্রহণের প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে। এ ধরনের কর্মসূচি ছাড়াও দারাজ নিয়মিতভাবে প্রতিমাসে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশে এসএমই খাতের পূর্ণ বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।
এ নিয়ে দারাজ বাংলাদেশের সেলার মার্কেটপ্লেস-কমার্শিয়াল ডিরেক্টর কামরুল হাসান বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারি দেশের সব ব্যবসায়িক খাতে আঘাত হেনেছে। ফলে মহামারি উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকেই তাদের কার্যক্রমে পরিবর্তন আনতে হবে। বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পর্যাপ্ত রিসোর্স ও প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলেও দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ব্যবসায়ীরা তা পারেননি। সারাদেশে অসংখ্য এসএমই ব্যবসায়ী বৈশ্বিক মহামারির কারণে অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের এমন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা দারাজ ‘সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম’ ও ‘সেলার ফাইন্যান্স প্রোগ্রাম’ শীর্ষক দু’টি উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এ অভূতপূর্ব সময়ে এসএমই ব্যবসায়ীদের পাশে থেকে তাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২১
আরবি