ঢাকা: ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অপারেটর ‘নগদ’ সরকারের হয়ে গত এক বছরের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে আড়াই কোটিরও বেশি মানুষকে সাত কোটিবার বিভিন্ন ভাতা ও সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।
শনিবার (৩ জুলাই) টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ (টিআরএনবি) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এ তথ্য জানিয়েছেন ‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক।
‘নগদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, হয়তো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে এত সহজে এত বেশি মানুষকে সরকারি সহায়তা দেওয়া সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতে ডিজিটালাইজেশন না করা গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জিত হবে না এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় না আনা গেলেও লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই দুই বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘নগদ’ যাত্রা শুরু করে।
‘আজ দুই বছর পর এসে অন্তত এটুকু বলতে পারি, আমাদের যে লক্ষ্য তার খুব কাছাকাছি পৌঁছানো গেছে। ‘নগদ’ একটি সরকারি সেবা হওয়ায় অন্য আরেকটি সরকারি সংস্থাও ‘নগদ’-এর ওপর আস্থা রাখছে এবং সহজেই তাদের ভাতা, সহায়তা ও অনুদান বিতরণ করতে পারছে।
তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, এমএফএস বিশেষ করে ‘নগদ’র কারণেই তালিকায় থাকা ভুয়া গ্রাহককে বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আর সে কারণে সরকারের বরাদ্দ থেকে ছাড় করা টাকাও আবার সরকারকে ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
এর আগে মূল প্রবন্ধে টিআরএনবি’র সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে বলেন, আগে যেখানে মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে সরকারকে হাজারে ২২ টাকা করে খরচ হতো, সেটি এখন ৭ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে আছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন টিআরএনবি’র সভাপতি রাশেদ মেহেদী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২১
কেএআর