নীলফামারী: নাদুস-নুদুস চেহারা। ডোরাকাটা চেহারা।
গেল বছর এটি হাটে তোলা হয়েছিল। কিন্ত সেরকম দাম না পাওয়ায় বিক্রি করা হয়নি। ফলে এবছর নতুন করে সাজিয়েছেন গরুটির মালিক নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের কয়লা গ্রামের খামারি চ্যাংমারী মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজেদা আকতার জাহান মুক্তা।
অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাড়ের দৈর্ঘ্য ৬ ফুট এবং বুকের বেড় ৮ ফুট। ওজন ২৫ মণ।
সাজেদা আকতার মুক্তা জানান, সরকারি প্রাথমিক স্কুলের চাকরির পাশাপাশি এই ষাঁড়টি পালনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। চলমান করোনা দুর্যোগে স্কুল বন্ধ তাই এটির লালন-পালন করতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে দুই মাস বয়সী ষাঁড়টি কিনে লালন পালন শুরু করি। এখন এর বয়স সাড়ে তিন বছর। খাদ্য তালিকায় প্রাকৃতিক সব খাবার দেয়া হয়। এর মধ্যে ঘাস, খড়, ভাতের মাড়, ভুষি অন্যতম। ’মায়-মমতা দিয়ে এটিকে বড় করেছি।
তিনি বলেন, অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবে ষাঁড়টি হৃষ্টপুষ্ট করা হয়। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। গেল বছরও করোনার প্রাদুর্ভাব ছিলো, এবারো একই অবস্থা। এর কারণে অনলাইনে বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
মুক্তার স্বামী জলঢাকা শহরের সতিঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান জানান, তার স্ত্রী শখ করে নিজের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন হীরা। এটি দেখার জন্য প্রতিদিনই লোকজন বাড়িতে আসছেন।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারির কারণে যেহেতু হাটবাজার বন্ধ। তাই এটি বাড়িতে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যে বেশি দাম দেবেন তার হাতে ষাড়টির রশি তুলে দেবেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোনাক্কা আলী বলেন, জেলায় বিভিন্ন খামারে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম জলঢাকার ওয়ান ডেইরি ফার্ম।
তিনি বলেন, গেল ঈদে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকায় একটি ষাঁড় বিক্রি করা হয়। করোনার কথা বিবেচনা করে এবারেও অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচা করা হচ্ছে।
গোটা নীলফামারী জেলায় কোরবানিকে সামনে রেখে অনেকেই ষাঁড় লালন পালন করেছেন। কিন্ত করোনাকালে বেচাকেনা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তারা।
জেলা প্রশাসন বলছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানির হাট চালু করা যায় কিনা চিন্তাভাবনা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
এএটি