ঢাকা: মহামারি করোনার কারণে ১০ কোটি টাকার কম ঋণে ডাউন পেমেন্ট ছাড়া এবং ১০ কোটি কোটি টাকা থেকে ৫শ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণের কিস্তির ০২ শতাংশ পরিশোধ করলে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো ঋণখেলাপি না করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছে এফবিসিসিআই।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেসরকারি খাতে ঋণ-বিনিয়োগ প্রবাহের গতিধারা স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনরের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই অনুরোধ জানান।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ফজলে কবিরের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অন্যান্য শিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের বকেয়ার পরিমাণ ১০ কোটি টাকার কম হলে পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রদেয় কিস্তির কোনো প্রকার ডাউন পেমেন্ট না দিলেও মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে শ্রেণিকরণ না করে পুনঃতফসিল করা বলে গণ্য করার অনুরোধ করা হয়েছে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং অন্য শিল্প-ব্যবসা বাণিজ্যের বকেয়ার পরিমাণ ১০ কোটি টাকার কম হলে পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রদেয় কিস্তির কোনো প্রকার ডাউন পেমেন্ট না দিলেও মেয়াদোত্তীর্ণ (খেলাপি) হিসেবে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ না করে ঋণ পুনঃতফসিল করা বলে গণ্য করার অনুরোধ করছি।
একই সঙ্গে ঋণ ও বিনিয়োগ পরিশোধের ক্ষেত্রে ১০ কোটি টাকার অধিক কিন্তু ৫শ কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্প ঋণ সমৃদ্ধ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ০২ শতাংশ পরিশোধ করা হলে উক্ত ঋণ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ (খেলাপি) না করার অনুরোধ করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ঋণ-বিনিয়োগ পরিশোধের ক্ষেত্রে ৫শ কোটি টাকার অধিক প্রকল্প ঋণ সমৃদ্ধ শিল্প ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রদেয় কিস্তির ন্যূনতম ১ শতাংশ পরিশোধ করা হলে উক্ত ঋণ-বিনিয়োগ বিরূপমানে শ্রেণিকরণ না করার অনুরোধ করেছেন জসিম উদ্দিন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ পুনরায় বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভয়াবহ ও অনিশ্চিত। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক আরও সক্রিয় সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে দেশের আপামোর ব্যবসায়ী মহলের এমনটাই প্রত্যাশা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২১
এসই/এএ