ভারতের বাজারে ক্রুড বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে ঊর্ধ্বগতি প্রকট আকার ধারণ করেছে। চলতি মাসে দেশটিতে পেট্রোল ও ডিজেল রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড বা অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম এবার রেকর্ড পর্যায়ে চলে গেছে।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো বলছে, ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পাম্পগুলোতে লিটার প্রতি ১০০ টাকার বেশি পরিশোধ করতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
অপরিশোধিত তেলের উচ্চ দামের কারণে ভারতীয় তেল বিপণন সংস্থাগুলো এ বছরের শুরু থেকে ডিজেল পেট্রোলের দাম বাড়াতে থাকে। এ পর্যন্ত পেট্রোলের দাম প্রায় ১৯.৩ শতাংশ এবং ডিজেলের দাম প্রায় ২১ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, দেশটিতে গত মে মাসেই ১৩ বার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
পেট্রোল পাম্প থেকে সরাসরি যারা তেল কেনেন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও এর কোন সুবিধা তারা ভোগ করতে পারছেন না। এ জন্য সরকারের কর ব্যবস্থাকেই দায়ী করছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। ভারতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের কর বিশ্বে সর্বোচ্চ।
এদিকে তেল উৎপাদনের কোটা নিয়ে সৌদি আরব আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে এ সপ্তাহে প্রকাশ্য তিক্ত মতভেদের পর বিশ্বের বড় তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তাদের মধ্যে আলোচনা স্থগিত করে দিয়েছে।
এর ফলে জ্বালানির বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে এবং তেলের দাম ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
ওপেক প্লাসের নেতা সৌদি আরব এবং রাশিয়া উৎপাদনের মাত্রা কম রাখার মেয়াদ আরও আট মাস বাড়ানোর প্রস্তাব দিলে সংযুক্ত আরব আমিরাত তা প্রত্যাখান করে এবং এর থেকেই গত সপ্তাহে তৈরি হয় সমস্যা।
জ্বালানির দাম বাড়তে থাকায় বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছে বাম ফ্রন্ট ও কংগ্রেস। তারা আরও অভিযোগ করেছে, কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের সমস্যার কথা না ভেবে উৎপাদন শুল্ক, সেস ও সারচার্জ থেকে রাজস্ব বাড়াচ্ছে কেন্দ্র। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যর্থতার ফল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২১
নিউজ ডেস্ক