ঢাকা: চলমান করোনা মহামারির মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্যমূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে গাজীপুরে চালু হয়েছে ‘পিমার্ট ভরসা স্টোর’।
শিল্প গ্রুপ মাহমুদ গ্রুপের প্রায় ১৫ হাজার পোশাক শ্রমিকদের জন্য এই দোকানটি চালু করেছে প্রিফিক্স লিমিটেডের সহায়ক প্রতিষ্ঠান পিমার্ট।
এই স্টোর থেকে পণ্য ক্রয়ে শ্রমিকরা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ মূল্য ছাড় পাবেন। পিমার্টের লক্ষ্য ন্যায্যমূল্যের এই চেইন শপটি ধীরে ধীরে বাংলাদেশের অন্যান্য সব শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রসার ঘটানো।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া পিমার্ট ভরসা স্টোরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদ গ্রুপের পরিচালক রাফি মাহমুদ, হেড অব এইচআর, অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স হেলাল ইসলাম এবং পিমার্টের সহকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ইয়াসিন ও হেড অব অপারেশন্স রিয়াদুল হাসান।
করোনাকালীন সময়ে বাইরে চলাচল করা এবং পরিবারের জন্যে প্রয়োজনীয় পণ্য কেনাকাটার জন্য পর্যাপ্ত সময় বের করতে পারেন না পোশাক শ্রমিকরা। আবার সরকার এই সময়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রাখার জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিম্ন-মধ্যম আয়ের কর্মক্ষম জন সাধারণের ওপর বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানসম্পন্ন ও নিরাপদ খাবারের পাশাপাশি সুলভ মূল্যে পণ্য প্রাপ্তির দোকান পাওয়া ও পোশাক শ্রমিকদের জন্য দুরুহ হয়ে উঠেছে।
উদ্যোগের বিষয়ে পিমার্টের সহকারী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ইয়াসিন বলেন, ‘মহামারির মধ্যে সহজলভ্যতা ও ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় পোশাক শ্রমিকদের মানসম্পন্ন এবং স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য ক্রয় বেশ দুরূহ হয়ে উঠেছে। তাই আমরা আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কিছু বৃহৎ এবং মাঝারি নিত্য পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করি। প্রথমেই আমরা স্বনামধন্য মাহমুদ গ্রুপের কর্মীদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা এবং ক্রয়ক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকান 'পিমার্ট ভরসা স্টোর' চালু করেছি। এই পরিসরে সাফল্য বিবেচনা করে শিগগিরই অন্যান্য শিল্প-কারখানায় ও এই উদ্যোগ চালু করার পরিকল্পনা আছে।
পিমার্ট ভরসা স্টোর কারখানার শ্রমিকদের শুধুমাত্র মাসিক ব্যয়ই হ্রাস করবে না। বরং এটি ক্রেতা শ্রমিকদের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মানসম্পন্ন পণ্যের সঙ্গে পরিচিতি, পণ্যের যোগান, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত ক্রয়-পরিবেশ, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই সবপণ্য এবং সর্বোপরি ক্রেতার পণ্য ক্রয়ে অনুকূল সময় বিবেচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
পণ্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড়। পিমার্টের এই উদ্যোগে সহযোগী হিসেবে এগিয়ে এসেছে ১৪০টির মতো নামী ব্র্যান্ড যাদের প্রস্তুতকৃত পণ্য কারখানার নিম্ন-মধ্যে আয়ের শ্রমিকগণ সুলভ মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন। পণ্য ক্রয়ের পর বিভিন্ন মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিস প্লাটফর্ম যেমন: বিকাশ, নগদ ব্যবহার করে তারা পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
এমআইএস/এএটি