ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজারে বিক্রেতা যেমন কম, ক্রেতাও তেমনি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
বাজারে বিক্রেতা যেমন কম, ক্রেতাও তেমনি

ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরু হয়েছে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধি নিষেধ। মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের দোকানপাট, গণপরিবহন এবং শিল্পকারখানা বন্ধ রেখে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টায় শুরু হওয়া এ বিধি নিষেধ চলবে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত।

বিধি নিষেধ লকডাউনের ঘোষণার প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারগুলোতে। বিশেষ করে অধিকাংশ দোকানই বন্ধ এবং ক্রেতাও কম। একই সঙ্গে দামেও রয়েছে কিছু পার্থক্য।

সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখানের বেশিরভাগ সবজির দোকান বন্ধ রয়েছে। অল্প কিছু ব্যবসায়ী দোকান খুলে সবজি বিক্রি করছেন। সবজির মতো মাছ এবং চালের বাজারেও অল্প কয়েকজন ব্যবসায়ীকে মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে বাজারে বিক্রেতা যেমন কম, তেমন ক্রেতাও বেশি দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে ব্যবসায়ী ওসমান গণি বলেন, একেতো ঈদের জন্য সবাই ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে, তার ওপর আবার কঠোর বিধি নিষেধ শুরু হয়েছে। এজন্য বাজারে আজ একদমই ক্রেতা নেই। আজ তো  আবার ছুটির দিন, অন্য সময় ছুটির দিনে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক, আজ বাজার প্রায় ক্রেতা শূন্য।
এদিকে কঠোর বিধি নিষেধ শুরু হতেই কাঁচাবাজারে বেড়ে যায় সবজির দাম। তবে সেই প্রভাব এখনো না পড়লেও দু-একদিনের মধ্যে কিছু সবজির দাম বাড়তে পারে বলে জানান সবজি ব্যবসায়ীরা।  

এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতা আহাদ আলী বলেন, ঈদের পর নতুন করে কোনো সবজির দাম বাড়েনি। সব আগের মতোই আছে। তবে আগামীতে সরবরাহ সংকটের কারণে কয়েকটি সবজির দাম বেড়ে যেতে পারে।

এদিকে ঈদের পর বিধি নিষেধে সবজির দাম রয়েছে আগের দামেই। এ বাজারে বেগুনের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঝিঙের কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গার কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।  কাঁচাকলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়।

এদিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে ছোট-বড় সড়ক ও মহাসড়কে মানুষের উপস্থিতি অনেক কম। বিধি নিষেধে যেমন রাস্তাঘাট ফাঁকা, তেমনি সুনসান নীরবতা দেখা যায়। এছাড়া সড়কে দেখা যায়নি একটিও গণপরিবহন। এছাড়া অন্য যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। বিভিন্ন পয়েন্টে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে গুরুত্ব সহকারেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২১
এইচএমএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।