ঢাকা: ঈদের ছুটিতে সাত দিন বন্ধ থাকার পরে আবারো টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। বরাবরের মতোই সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে টিসিবির ট্রাকগুলোর সামনে ভিড় করেছেন ক্রেতারা।
তবে ঈদের আগে টিসিবির পণ্যের জন্য যে দীর্ঘ লাইন দেখা গিয়েছিল, সোমবার (২৬ জুলাই) প্রথম দিনে মানুষের লাইন ততটা বড় নয়। কারণ সোমবার থেকে পণ্য বিক্রির শুরুর বিষয়টা অনেকেই জানেন না। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে ক্রেতাদের চাপ আবারও আগের মত বাড়বে বলে মনে করছেন ডিলাররা।
প্রথমদিন মোহাম্মদপুর, খামারবাড়ি, মালিবাগ, শান্তিনগর এলাকায় এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে চলমান এ বিক্রয় কার্যক্রম বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
যদিও বিক্রি শুরু প্রথম দিনে রাজধানীতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত টিসিবির ট্রাকের দেখা মিলেনি কিছু এলাকায়। তবে এসব এলাকায় ট্রাকের জন্য নিধারিত স্থানে ছিল মানুষের ভিড়।
কিছু এলাকায় সকাল ১০টা থেকেই দীর্ঘক্ষণ সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ফলে অনেকেই বিরক্তি আর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে টিসিবি'র যুগ্ম পরিচালক ও মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, বরাদ্দ পেতে দেরি হওয়ার কারণে কোনো কোনো ডিলারের স্পটে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে। তবে সকলেই নিধারিত স্থানে পণ্য বিক্রি করবে।
ডিলাররা জানায়, রাজধানীতে সোমবার ৩৯টি গাড়িতে টিসিবির পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
ভর্তুকি মূল্যে কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী নিয়োজিত ডিলারের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে দেশব্যাপী বিক্রয় হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সয়াবিন তেল, মশুর ডাল এবং চিনি। প্রতি লিটার ১০০ টাকা, মশুর ডাল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা এবং চিনি প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে।
হুমায়ুন কবির বলেন, এ ট্রাক সেল চলতি মাসের ২৯ তারিখে পুরোদমে বন্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর শোকাবহ আগস্ট মাস উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন বাদে বিক্রয় কার্যক্রম চলবে।
করোনা সংক্রমণের সময় ভোক্তাদের কম দামে পণ্য সরবরাহ করতে ৫ জুলাই থেকে এ ট্রাক সেল শুরু হয় সারাদেশে।
ইতোমধ্যে দেশজুড়ে টিসিবি'র ৪০০ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা সিটিতে ৮০টি ও চট্টগ্রাম সিটিতে ২০টি ট্রাক থাকার কথা। এছাড়া প্রতিটি মহানগর ও জেলা শহরেও ট্রাক সেলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্র গুলোতে পাওয়া যাবে সকল পণ্য।
বর্তমানে টিসিবি'র প্রতিটি ট্রাকে ৬০০-৮০০ কেজি চিনি, ৩০০-৬০০ কেজি মসুর ডাল এবং ৮০০-১২০০ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রাখা হয়েছে। একজন ব্যক্তি দৈনিক ২-৪ কেজি চিনি, ২ কেজি ডাল ও ২-৫ লিটার ভোজ্যতেল কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
এমআইএস/কেএআর