ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমরা সব ধরনের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য ক্যাপাবল: অর্থমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২১
আমরা সব ধরনের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য ক্যাপাবল: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: সব ধরনের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ক্যাপাবল জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা যতে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবো ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। আমরা মনে করি পিপিপি কনসেপ্ট এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হবে না।

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি ২০তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত এবং ২৫তম সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পিপিপি থেকে সরকারের বেরিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের তো প্রকল্প হচ্ছেই। পিপিপি কনসেপ্ট আমরা এখানে ভালোভাবে আইডিয়া নিতে পারিনি এটা সত্যি। তারপরও কাজ শুরু হয়েছে। যৌথভাবে শুরু করলে এ সময়টা দিতে হবে। এসব বিষয় আমাদের ফেইস করতে হচ্ছে, সেগুলো মোকাবিলা করে আমরা এগিয়ে যাবো। এখন আমাদের হাতে টাকা আছে, নিজেরা ব্যয় করছি। কিন্তু আমরা চাই বিদেশি বিনিয়োগ। যত বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারব ততই আমাদের জন্য মঙ্গল।

তিনি বলেন, প্রথমদিকে আমরা পারিনি কারণ আমাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ছিল না। ইনফ্রাস্ট্রাকচার বলতে ফিজিকাল নন ফিজিকাল বোথ। এখন আমরা সব ধরনের ইনফ্রাস্ট্রাকচারের জন্য ক্যাপাবল।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ডান তীরে লালদিয়া চর এলাকায় ৫৯ দশমিক ৮৭ একর জমির উপর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারির (পিপিপি) আওতায় প্রস্তাবিত ‘কনস্ট্রাকশন অব লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল’ প্রকল্পটি পিপিপি তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, ইনেশিয়াল স্টেজে যে ধ্যান-ধারণা নিয়ে প্রকল্পটি করা হয়েছিল পরবর্তীতে দেখা গেছে প্রকল্পটি সেভাবে করলে সময়ের সাথে সাথে চাহিদা অনেক বেড়ে যায়, এখানেও চাহিদা বেড়ে গেছে। এখানে যে পরিমাণ জায়গা সেগুলোকে যদি আমরা ব্যবহার করি তাহলে আমরা চাহিদা মেটাতে পারব না। সেজন্য প্রায় সময় কিছু কিছু প্রকল্প এভাবে বাদ দিতে হয়।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের বছরব্যাপী গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে সমাপনী ও অন্যান্য অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম নিয়োগ, নগরসজ্জা এবং দেশে-বিদেশে ওয়ার্কশপ, সেমিনার, কনফারেন্স, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনী আয়োজনসহ বিভিন্ন প্রকাশনা, ভিডিও, ডকুমেন্টারি, এলইডি স্ক্রিন স্থাপন এবং আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সেবা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টারের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) ওরাকল ক্লাউড ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৯,২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।