ময়মনসিংহ: ‘গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ’- একসময় এই ছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। মাছে-ভাতে বাঙালি পরিচয়টিও এসেছে সেভাবে।
জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকশ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে শুধু পুকুর আর পুকুর। পাঙ্গাস চাষের জন্য ৫-১০ কাঠা থেকে শুরু করে ২০-৫০ কাঠা জায়গায় পুকুর তৈরি করেছেন একেকজন মাছ চাষী। উপজেলার জঙ্গল বাড়ি এলাকার মাছ চাষি মো. বেলাল ফারাজী (৪৫) বাংলানিউজকে বলেন, ২০১০ সালে ১০ কাটা জমিতে একটি ছোট্ট পুকুর দিয়ে শুরু করেছিলাম। মা-বাবার দোয়া ও আল্লাহ রহমতে এখন আট একর জমিতে আটটি পুকুর রয়েছে। আমরা পাঁচ ভাই, দুই বোন। বড় ভাই ডাক্তার, দুই ভাই চাকরি করেন। বোনদের বিয়ে দিয়েছি। আর আমরা দুই ভাই মাছ চাষ করি। সবাই খুব ভালো আছি। তিনি আরও বলেন, আমরা বেশিরভাগ পুকুরে পাঙ্গাশের চাষ করি। এর পাশাপাশি তেলাপিয়া, রুই, কাতলা ও পুঁটি মাছের পোনা দেই। পুকুর তৈরির পর ৮০ গ্রাম ওজনের মাছের পোনা দেওয়া হয়। ১৮ মাস পর সেগুলো বিক্রির উপযোগী হয়। পাঙ্গাস মাছ প্রতিটির ওজন আড়াই কেজি হয়। আবার অনেক সময় তিন কেজিও হয়ে থাকে। https://fb.watch/7j7yps1Btb/অবশ্য সেক্ষেত্রে প্রচুর পরিমাণ খাবার দিতে হয় তাদের। মাছ তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠার জন্য রাইস পলিশ, আটা, ভুট্টা, শুঁটকি মাছ, হাড়ের গুঁড়া ইত্যাদি দেওয়ার কথা জানান বেলাল ফারাজী। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) থেকে শুধু পাঙ্গাস মাছ বিক্রি শুরু করেছেন তিনি। এবার ৯০ থেকে ১০০ টন মাছ বিক্রি হবে বলে আশাবাদ তার। এতে আনুষাঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে বেলাল ফারাজীর পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হবে। কীভাবে মাছ বিক্রি করেন জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের জেলায় অনেক পাইকার আছেন। এরা পুকুর থেকে মাছ কিনে নেন। তারপর দেশের বিভিন্ন জেলার আড়তগুলোতে ব্যাপারিদের কাছে বিক্রি করেন। আমি প্রতি কেজি মাছ ৯২ টাকা দরে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
জিএমএম/এএটি