ঢাকা: তিনটি পৃথক লটে মোট ৯০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানি করবে সরকার। ৯০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের দাম পড়বে ৩৬৫ কোটি টাকা।
সার আমাদানির তিন প্রস্তাবসহ ৭৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১১ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী অ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সামসুল আরেফিন।
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রিল্ড ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কাতারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৯২ মার্কিন ডলার। সেই হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্রিল্ড ইউরিয়া সারের মোট দাম ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫ কোটি ৩৮ লাখ ৬২ হাজার টাকা।
কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো), বাংলাদেশের কাছ থেকে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। কাফকোর সঙ্গে চুক্তি অুনযায়ী সারের দাম নির্ধারণ করে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার প্রতি মেট্রিক টন ৪৫৭ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা।
রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব লিমিটেড থেকে ১ম লটে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। প্রতি মেট্রিক টন ইউরিয়া সারের দাম ৪৮৪.৩৩৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানিতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৬৫০ টাকা।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ২টি এবং ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ১০টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এর মধ্যে ৯টি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি প্রস্তাব ফেরত দেওয়া হয়েছে।
ক্রয় কমিটির প্রস্তাবগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ২টি, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ১টি, সেতু বিভাগের ১টি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ১টি এবং বিদ্যুৎ বিভাগের ১টি প্রস্তাব ছিল।
অনুমোদিত ৯টি প্রস্তাবের মধ্যে ৮টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৭৪৪ কোটি ৯০ লাখ ৯৮ হাজার ১০৩ টাকা। চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম থেকে ৬০ মিলিয়ন ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
কোভিড মহামারি মোকাবিলায় জরুরি পরিস্থিতিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে চীনের সিনোফার্মসহ অন্য যেকোনো কার্যকর টিকা ক্রয়ের বিষয়টি গত ২৮ এপ্রিল সিসিইএ সভায় অনুমোদিত হয়। সিসিইএ সভার অনুমোদন এবং টিইসির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় দেশে ১৩ কোটি ৮২ লাখ লোককে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম থেকে আরও ৬০ মিলিয়ন ডোজ সিনোফার্ম ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) চুক্তিপত্রে উল্লেখিত একক মূল্যে কেনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২১
এমআইএস/এমজেএফ