ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন অটোমেশন, কন্ট্রোল অ্যান্ড মেকাট্রনিক্স ৪.০ (এসিএমআই) ২০২১-এর বেস্ট পেপার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ওয়ালটন কম্প্রেসর। গত ৮ ও ৯ জুলাই ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, ‘ডিটারমিনেশন অব স্টার্টিং অ্যান্ড রানিং টর্ক অ্যান্ড দেওয়ার ইফেক্টস অন এ হাউজহোল্ড রেফ্রিজারেটর হারমেটিক রিসিপ্রোকেটিং কম্প্রেসর’ শীর্ষক গবেষণাপত্রের জন্য এ অ্যাওয়ার্ড পায় ওয়ালটন কম্প্রেসর। ওয়ালটনের পক্ষে গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন কম্প্রেসর আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) বিভাগের দুই প্রকৌশলী মো. সামিউল ইসলাম ও মো. জাহিদ হাসান।
এসিএমআই একটি অন্যতম শীর্ষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন। তড়িৎযন্ত্র প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের উচ্চমানের শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের একটি আদর্শ মিলনস্থল এটি। আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, চীনসহ দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষক তড়িৎযন্ত্র প্রকৌশল ও প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। চলতি বছর ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আয়োজিত সম্মেলনটিতে ৫০ হাজারেরও বেশি অংশগ্রহণকারী ছিলেন।
সম্মেলনের টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর ছিল নিউইয়র্কভিত্তিক ‘ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারস’-এর বাংলাদেশ শাখা। আর পৃষ্ঠপোষক ছিল ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন অব বাংলাদেশ (ইউজিসি) ও ব্যাটকো ইঞ্জিনিয়ারিং।
গবেষণাপত্রটির কাজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওয়ালটনের ডেপুটি হেড অব কম্প্রেসর (আরএন্ডডি) প্রকৌশলী সামিউল ইসলাম জানান, কম্প্রেসরে কাজ করার জন্য যে ইনপুট পাওয়ার দেওয়া হয় সেটা মূলত হয় স্ট্যাটরে। স্ট্যাটর কম্প্রেসরের মেকানিক্যাল যন্ত্রাংশগুলোকে চলমান রাখে। মেকানিক্যাল যন্ত্রাংশগুলো চলমান রাখতে দুই ধরনের টর্ক দরকার হয়। প্রথমত স্টার্টিং টর্ক, যেটা কম্প্রেসর চালুর জন্য শুরুতেই দরকার হয়। দ্বিতীয়ত রানিং টর্ক, যেটা কম্প্রেসরকে চলমান রাখে। কিন্তু হারমেটিক কম্প্রেসরের রানিং টর্ক ও স্টার্টিং টর্ক সরাসরি মাপা খুবই কঠিন একটি কাজ এবং এর জন্য খরচও অনেক। ওই গবেষণাপত্রে একটি নিউমেরিক্যাল মডেলের অবতারণা করা হয়েছে, যার দরুণ থ্রিডি ডিজাইন থেকে সরাসরি স্টার্টিং ও রানিং টর্ক মাপা যাবে। এতে সময় ও খরচ দু’টোই সাশ্রয় হবে।
ওয়ালটন কম্প্রেসরের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) রবিউল আলম বলেন, অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত এ মডেলের কম্প্রেসর ইতোমধ্যেই ওয়ালটন কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে। ওয়ালটন কম্প্রেসরের বিশেষ দিক হলো এর শব্দ লেভেল অনেক কম এবং এটি মজবুত ও টেকসই।
তিনি বলেন, খুব শিগগিরই ওয়ালটন একটি নতুন সিরিজের কম্প্রেসর বাজারে আনবে, যেখানে সর্বাধুনিক ইনভার্টার টেকনোলজির ব্যবহার হবে। এ সিরিজের কম্প্রেসরের পারফরমেন্স হবে অতি উচ্চ। ফলে গ্রাহকরা আরও বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য পাবেন।
সম্মেলনের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কম্প্রেসরের গবেষণা ও উৎপাদনে ওয়ালটনের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২১
আরবি