ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘নারী পোশাক শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা জরুরি’ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২১
‘নারী পোশাক শ্রমিকদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করা জরুরি’  ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা অধিকার এবং পারসোনাল হাইজিন বিষয়ে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।  

রোববার (২৯ আগস্ট) সচিবালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ ও নেদারল্যান্ডভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থার (এসএনভি) ‘যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকারের (এসআরএইচআর) তৃতীয় জাতীয় সম্মেলন’র দ্বিতীয় দিনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের জন্য সাভারে কর্মজীবী নারী হোস্টেল ও শিশুদের জন্য ১৬টি ডে কেয়ার সেন্টার পরিচালনা করছে। তাদের শিশুর স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির উন্নয়নে মাসে ৮০০ টাকা করে তিন বছর মেয়াদে কর্মজীবী ল্যাক্টেটিং মা ভাতা দেওয়া হচ্ছে।  

তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৩ সালে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী উন্নয়ন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য, ফ্যামিলি প্লানিং বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেন্ডার সমতা অর্জনের মাধ্যমে নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল সৃষ্টি করেছেন। বর্তমানে ১৫ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী অধিকার মানবাধিকার। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সেবার অধিকার, নারীর অধিকার। একজন নারীর কখন বিয়ে হবে, কার সঙ্গে বিয়ে হবে, কখন সন্তান হবে, কতজন সন্তান হবে, পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার এবং নিরাপদ মাতৃত্ব এগুলো নারীর সাধারণ অধিকার।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা আরও বলেন, অ্যাডভোকেসি ও বিসিসি কর্মসূচির মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে। প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স প্রতিরোধে সরকারের সঙ্গে জনপ্রতিনিধি, কমিউনিটি লিডার ও এনজিওগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারাদেশে আট হাজার কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্লাবের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতন করা হচ্ছে।



ঢাবির পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের চেয়ারম্যান ও সেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রবিউল হক সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি হেড পলা শিন্ডেলার ও ঢাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।  

দু’দিনের জাতীয় সম্মেলনে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, জেন্ডার বেজড ভায়োলেন্স ও পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ বিষয়ে চারটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।   

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২১
জিসিজি/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।