ঢাকা: চলতি বছরের আগস্ট মাসে প্রবাসীরা ১৮১ কোটি মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই রেমিটেন্সের পরিমাণ ১৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা।
সরকারের দেওয়া ২ শতাংশ প্রণোদনার পাশাপাশি মহামারির কারণে বিদেশ ভ্রমণ কমে যাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স বেড়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাই মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে রেমিটেন্স কমেছে ৫২২ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুলাই মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার বা ১৫ হাজার ৯০৭ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৩৯ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ১৩৭ কোটি ৩১ লাখ মার্কিন ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭৪ লাখ ডলার। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে তিন কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার।
বরাবরের মতোই সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে ৫০ কোটি ৮৯ লাখ ডলার এসেছে। এরপর ডাচ-বাংলা ব্যাংক প্রায় ১৮ কোটি ৮০ লাখ, অগ্রণী ব্যাংক ১৬ কোটি ২৫ লাখ, সোনালী ব্যাংক ১১ কোটি এবং পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এই সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মাধ্যমে কোনো রেমিটেন্স পাঠাননি প্রবাসীরা।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ একের পর এক রেকর্ড গড়ছে। এর সঙ্গে বৈদেশিক ঋণ সহায়তা যোগ হওয়ায় গত ২৪ আগস্ট রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে আসে। যা আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক হাজার ৮২০ কোটি ডলার বা ১৮ দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। অর্থবছরের হিসাবে এ যাবতকালে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স এসেছে ২০২০-২১ অর্থবছরে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২১
এসই/এমজএফ