ঢাকা: ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে খেলাপি হবে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ। তবে কিস্তির বাকি অর্থ পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে দেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের ঋণ শ্রেণিকরণের বিষয়ে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে সৃষ্ট চলমান সংকটে যে সব গ্রাহক সাময়িকভাবে ঋণের কিস্তি পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হবেন তাদের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তিসমূহের কমপক্ষে ৫০ শতাংশ চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে খেলাপি হবে না আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ। তবে কিস্তির বাকি অর্থ পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য কিস্তি যথা সময়ে পরিশোধ করতে হবে।
এর আগে জারিকৃত সার্কুলারের মাধ্যমে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ঋণের বিপরীতে ইতোমধ্যে আদায়কৃত বা পরিশোধিত অর্থ এই সার্কুলারের মাধ্যমে দেওয়া নির্দেশনা পরিপালনের ক্ষেত্রে আদায় হিসেবে বিবেচনা করা যাবে। ওই ঋণ হিসাবসমূহের সুদ বা মুনাফা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত অন্যান্য নীতিমালা বলবৎ থাকবে। এই সময়ে কোনো দণ্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি বা চার্জ বা কমিশন (যে নামেই অবহিত করা হোক) আদায় করা যাবে না। অবিলম্বে এই নির্দেশনা কার্যকর করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২১
এসই/এমজেএফ